খেলাধূলা ডেস্ক
গতকাল তৃতীয় দিনেই ব্যক্তিগত ফিফটি করেছিলেন মুশফিক। ঠিক তখনই দ্বিতীয় বাংলাদেশি হিসেবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১৫ হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করেছেন এই উইকেটকিপার ব্যাটার। পরে আজ লিটন দাসকে নিয়ে নিজেদের জুটির শতরান পূর্ণ করেন প্রথমে। পরবর্তীতে মেহেদী হাসান মিরাজকে নিয়ে করেন রেকর্ডগড়া জুটি। সপ্তম উইকেটে দুজন মিলে ১৯৬ রান যোগ করেন। যা টেস্টে সপ্তম উইকেটে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ জুটি। এর আগে ওই রেকর্ডটি ছিল ১৪৫ রানের, ২০১০ সালে হ্যামিল্টনে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে যে জুটিটি গড়েছিলেন সাকিব আল হাসান ও মাহমুদউল্লাহ।
শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশকে রানপাহাড়ে তুলে ব্যক্তিগত এক মাইলফলকের দিকেই ছুটছিলেন মুশফিকুর রহিম।
মুশফিকুর রহিমের অনবদ্য এক ইনিংসের পর রাওয়ালপিন্ডি টেস্টে স্বাগতিকদের হারানোর স্বপ্ন দেখছে তারা।
প্রথম ইনিংসে তার ১৯১ রানের সৌজন্যে বাংলাদেশ ১১৭ রানের লিড নেয়। পাকিস্তানের ৪৪৮ রানের জবাবে সফরকারীরা করে ৫৬৫ রান। দিন শেষ হওয়ার আগে পাকিস্তান ১০ ওভারে ১ উইকেটে ২৩ রান করে। তারা এখনও ৯৪ রানে পিছিয়ে।
ব্যাটিংয়ে মুশফিককে কৃতিত্ব দিলেন মিরাজ। সপ্তম উইকেটে ১৯৬ রানের জুটি গড়েছেন দুজন। ৭৭ রান করা মিরাজ বলেছেন, ‘মুশফিক ভাই ও আমার ভালো জুটি হয়েছিল। চমৎকার ব্যাটিংয়ের জন্য তাকে কৃতিত্ব দিতে হয়। আমাকেও দারুণভাবে সমর্থন দিয়েছেন। তিনি আমাকে বলেছেন, এটা চমৎকার উইকেট, ভালোভাবে খেলে যেতে হবে।’
বাংলাদেশের টেস্ট ইতিহাসে প্রথম ডাবল সেঞ্চুরিয়ান মুশফিকুর রহিম। ২০১৩ সালে গল টেস্টে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ২০০ রান করেন তিনি। তারপর ২০১৮ ও ২০২০ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দুটি ডাবল সেঞ্চুরি করেন।
রাওয়ালপিন্ডিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম টেস্টের চতুর্থ দিন দ্বিতীয় সেশন চলাকালে বিদেশের মাটিতে বাংলাদেশের শীর্ষ টেস্ট ব্যাটারের আসনে বসেন মুশফিক। তিনি পেছনে ফেলেছেন তামিম ইকবালকে।
চা বিরতিতে মুশফিক অপরাজিত ছিলেন ১৭৩ রানে। তাতে করে অ্যাওয়ে টেস্টে তার রান দাঁড়ায় ২৩৬৩। তামিম ৫৯ ইনিংসে ৪০.১৫ গড়ে ২৩২৯ রান করেন।দেশের বাইরে এটি ছিল মুশফিকের ৬৮তম ইনিংস, বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ।
মুশফিক থেমেছেন ১৯১ রানে। ৩৪১ বলের ইনিংসে ছিল ২২ চার ও ১ ছয়। তাতে অ্যাওয়ে টেস্টে তার রান হলো ২৩৮১।
মিস্টার ডিপেন্ডেবলের এমন কীর্তির জন্য তার সততা, নিবেদন ও পরিশ্রমের অবদানের কথা উল্লেখ করেছেন তার সতীর্থরা।
Discussion about this post