শিক্ষার আলো ডেস্ক
নতুন শিক্ষাক্রম অনুযায়ী দশম শ্রেণি শেষে যে পাবলিক পরীক্ষা হবে, তাতে একটি বিষয়ে ৫০ শতাংশের (অর্ধেক অংশ) মূল্যায়ন হবে লিখিত পরীক্ষার মাধ্যমে। আর বাকি ৫০ শতাংশের মূল্যায়ন হবে হাতে–কলমে কাজের মাধ্যমে।একজন শিক্ষার্থী শিক্ষাক্রম অনুযায়ী যেসব অভিজ্ঞতা অর্জন করবে, সেগুলো মূলত সৃজনশীল উপায়ে লিখতে হবে। আর অনুসন্ধান, প্রদর্শন, মডেল তৈরি, উপস্থাপন, পরীক্ষণ, পরিকল্পনা প্রণয়ন ইত্যাদি বিষয়ের মাধ্যমে হাতে–কলমের মূল্যায়ন হবে।
আজ সোমবার মতিঝিলে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডে অনুষ্ঠিত নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন ও মূল্যায়নপদ্ধতি চূড়ান্ত করার লক্ষ্যে গঠিত কমিটির এক সভায় প্রাথমিকভাবে এ সিদ্ধান্ত হয়। এর আগে সিদ্ধান্ত হয়েছিল, নতুন শিক্ষাক্রম অনুযায়ী মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট বা এসএসসি পরীক্ষার মতো পাবলিক পরীক্ষা বা মূল্যায়নে হাতে-কলমে কাজের পাশাপাশি লিখিত পরীক্ষাও থাকবে। তবে লিখিত পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ও উত্তর দেওয়ার ধরন এখনকার মতো মুখস্থনির্ভর হবে না। একজন শিক্ষার্থী শিক্ষাক্রম অনুযায়ী যেসব অভিজ্ঞতা অর্জন করবে, সেগুলো মূলত সৃজনশীল উপায়ে লিখতে হবে। আর অনুসন্ধান, প্রদর্শন, মডেল তৈরি, উপস্থাপন, পরীক্ষণ, পরিকল্পনা প্রণয়ন ইত্যাদি বিষয়ের মাধ্যমে হাতে–কলমের মূল্যায়ন হবে।
মূল্যায়নপদ্ধতির খসড়া অনুযায়ী, শিক্ষা বোর্ডের অধীন অনুষ্ঠিত প্রতিটি বিষয়ের মূল্যায়ন হবে এক কর্মদিবসের সর্বোচ্চ পাঁচ ঘণ্টায়। বিরতি দিয়ে হবে এই মূল্যায়ন। লিখিত পরীক্ষা বিষয়ভেদে এক ঘণ্টা থেকে দুই ঘণ্টাও হতে পারে।
জানা গেছে, নতুন মূল্যায়ন পদ্ধতিতে মার্কিং (চিহ্নিত) করার নিয়ম থাকবে না। ‘রিপোর্ট ভালো’, ‘অর্জনের পথে’ এবং ‘প্রাথমিক পর্যায়’ এমন তিন ভাগে ফলাফল হবে। চতুর্থ থেকে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের মিডটার্ম ও ফাইনাল পরীক্ষা হবে। এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের মূল্যায়ন হবে চূড়ান্ত পরীক্ষার মাধ্যমে।
আরও পড়ুনঃ নতুন শিক্ষাক্রমে আসছে লিখিত পরীক্ষা , পাবলিক পরীক্ষা ৫ ঘন্টা !
আজকের বৈঠকে উপস্থিত একটি সূত্র জানিয়েছে, যেহেতু নতুন শিক্ষাক্রমে নম্বর দেওয়ার ব্যবস্থা থাকছে না। তাই লিখিত ও হাতে–কলমে কাজের অংশে কত শতাংশ মূল্যায়ন হবে, সেটি নিয়ে আলোচনা করে প্রাথমিকভাবে সিদ্ধান্ত হয়েছে।
পুরোনো কারিকুলাম অনুযায়ী, শিক্ষার্থীদের তিন ঘণ্টার লিখিত পরীক্ষায় অংশ নিতে হতো। আর পৃথক দিনে ব্যবহারিক পরীক্ষা হতো। নতুন কারিকুলাম অনুযায়ী মূল্যায়ন প্রক্রিয়াও ভিন্ন হচ্ছে। পরীক্ষা ও মূল্যায়ন নিয়ে শিক্ষাবিদদের মতামত নিয়ে এই খসড়া প্রস্তাবনা তৈরি করার কথা জানিয়েছে এনসিটিবি। এটি এখন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। সেখানে হবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় বলছে, গত বছর ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে নতুন কারিকুলাম চালু হয়েছে। চলতি বছর দ্বিতীয়, তৃতীয়, অষ্টম ও নবমে এবং ২০২৫ সালে চতুর্থ, পঞ্চম ও দশম শ্রেণিতে এটি চালু হবে। নতুন কারিকুলামে এসএসসি পরীক্ষা হবে ২০২৬ সালে। পর্যায়ক্রমে ২০২৭ সালে দ্বাদশ শ্রেণিতে চালু হবে নতুন শিক্ষাক্রম। এই শিক্ষাক্রমে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়নের বড় অংশ হচ্ছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ধারাবাহিকভাবে (শিক্ষাকালীন)।
Discussion about this post