দুনিয়ার শ্রেষ্ঠ কৃপণ!
ত্রিভুবন খ্যাত কৃপণ ছিলেন ভবেশবাবুর বাবা। তিনি যখন মৃত্যু শয্যায় তখন ছেলেকে বলে যান- আমি তো আর থাকবো না; তবে যদি কখনো কোনো বিষয়ে কোনো পরামর্শের প্রয়োজন হয়, আমার এক কৃপণ বন্ধু আছে, তার নাম হর কুমার, তার কাছ থেকে পরামর্শ নিবি।
ভবেশের বাবার মৃত্যু হলো। পরে জায়গা-জমি সংক্রান্ত একটা ব্যাপারে ভবেশবাবু পরামর্শ নিতে একদিন সন্ধ্যার পর পিতৃবন্ধু হর কুমারের কাছে গেলেন।
কাকা হরকুমার ভবেশকে সাদরে ঘরে নিয়ে বসালেন।
এসময় হরকুমার বললেন, কথা বলতে তো আর আলোর প্রয়োজন নেই, তাহলে বাতিটি নিভিয়ে দেই। হর কুমার বৈদ্যুতিক বাতিটি নিভিয়ে দিলেন।
কথাবার্তা শেষে ভবেশবাবু যখন উঠতে যাবেন, তখন হর কুমার বললেন- দাঁড়াও, বাতিটা এবার জ্বালিয়ে দেই, নইলে তুমি বেরুবার রাস্তা দেখতে পাবে না।
ভবেশ তখন বললেন- একটু দাঁড়ান কাকা, আমি লুঙ্গিটা পরে নিই।
হরকুমার অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করলেন- মানে? তুমি কি এতক্ষণ লুঙ্গি না পরা অবস্থায়ই আমার সঙ্গে কথা বলছিলে?
ভবেশ বললেন- আজ্ঞে কাকা! অন্ধকার ঘরে লুঙ্গি পরে সেটার অপচয় করে কি লাভ? খুলে রাখলে বরং লুঙ্গিটার পরমায়ু অন্তত ৩/৪ ঘণ্টা তো বাড়বে!
এমন জবাব শুনে হরকুমারবাবুর হার্ট অ্যাটাকের দশা হলো! হতাশ কণ্ঠে বললেন- তুমি কেন অযথা আমার কাছে পরামর্শ নিতে এসে সময়ের অপচয় করলে? তুমি তো ইতোমধ্যেই আমাকে ছাড়িয়ে গেছো, বাপু…
মন্টু ও তার প্রেমিকা
প্রেমিকা ঝুমার সঙ্গে মন খারাপ মুড নিয়ে দেখা করলো মন্টু। মন খারাপ দেখা যাচ্ছে ঝুমারও। তবে একজন ভাল প্রেমিকা হিসেবে মন্টুর মন ভাল করার জন্য ঝুমা চেষ্টা শুরু করে
ঝুমা: কী হয়েছে তোমার, মাই হিরো!
মন্টু: হিরোর গুষ্টি কিলাই! আর আশা নাই- সব শেষ!
ঝুমা: এতো মন খারাপ করার কী আছে বলবে তো?
মন্টু: বাবা বলেছে এবারও যদি ফেল করি তবে লেখাপড়া বন্ধ করে আমাকে রিক্সা কিনে দেবে…
ঝুমা: ওয়াও! আল্লাহ কী শান্তি, আমার তো বিশ্বাসই হচ্ছে না!
মন্টু: ফাউল মেয়েলোক! এখানে খুশি হবার কী আছে?
ঝুমা: আছে আছে! আমার বাবা বলেছে- এবার ফেল করলে রিক্সাওয়ালার সঙ্গে বিয়ে দিয়ে দেবে আমাকে!
মন্টু: আর চিন্তা নাই- চল তাইলে দুইজনেই ফেল করি এবার…বিয়া কনফার্ম
(২)
জানু, আই…আই লাভ ইউ!
(১)
বর্ষণমুখর সন্ধ্যায় স্ত্রীর প্রেমমাখা এসএমএস এসেছে স্বামীর কাছে: সুইটহার্ট, সকালের ঝগড়ার জন্য দুঃখিত যদিও দোষটা তোমারই ছিল। জান আমার, তোমার জন্য মন খুব খারাপ লাগছে… তোমাকে খুব মিস করছি! যদি এ মুহূর্তে তুমি অফিসের চেয়ারে ঘুমিয়ে থাক তবে তোমার স্বপ্নগুলো পাঠাও আমাকে, যদি কোনো তরুণী কলিগের জোক্স শুনে হাসতে থাক তবে সেই হাসির আনন্দ পাঠাও, যদি তোমার প্রিয় পিজা খাওয়া অবস্থায় থাকো তবে তার থেকে এক কামড় আমাকে পাঠাও, যদি কোনো কারণে আমার কথা মনে করে অশ্রু এসে পড়ে থাকে তোমার চোখে- সেই লোনাজলের ভালোবাসা পাঠাও আমার কাছে… জানু, আই… আই লাভ ইউ!
স্বামী এসএমএসটি পড়লো অফিসের বাথরুমে থাকা অবস্থায়। স্ত্রীর ওপর থেকে রাগ পড়ে গেল এবং দ্রুত জবাবি মেসেজ লিখলো: আমি এখন কমোডে বসে আছি। প্লিজ, বলে দাও কী করবো…
(২)
ধোঁকাবাজ প্রেমিক বিদেশ চলে যাচ্ছে, ধান্ধাবাজ প্রেমিকা এসেছে বিদায় জানাতে।
প্রেমিকা: তোমার হাতের আংটিটা আমাকে দিয়ে যাও…
নিজের হাতের হীরের আংটির দিকে তাকিয়ে প্রেমিক: কেন, প্রিয়তমা, জান আমার…
প্রেমিকা: এই আংটি আমাকে সারাক্ষণ তোমার কথা মনে করাবে।
প্রেমিক: এটা ছাড়াও তুমি সারাক্ষণ আমাকে মনে করবে…
প্রেমিকা: সেটা কীভাবে?
প্রেমিক: আমি যাওয়ার পর থেকে তোমার মনে খচ খচ করবে একটি কথাই- আংটিটা চাইছিলাম দিল না! কী প্রেম করছিলাম…
(৩)
মেয়েরা লিপস্টিকের রং লাইট না ডার্ক হবে এই সিদ্ধান্ত যতক্ষণে নেয় ছেলেরা তারচে আগে প্রেমে পড়ে…
(৪)
জমজমাট এক ডিসপেন্সারির দরোজায় লাগানো ঘোষণা: ওষুধের সত্যিকারের মেয়াদ শেষের তারিখগুলো আমাদের জানা আছে, আপনাদের কিন্তু নেই। তাই, দয়া করে বাকিতে ওষুধ দিতে বাধ্য করবেন না!
Discussion about this post