আন্তর্জাতিক ডেস্ক
হংকংয়ের ওপর নতুন নিরাপত্তা আইন চাপিয়ে দেয়ার বিরুদ্ধে মুখ খুলেছে অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাজ্য, কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্র। বৃহস্পতিবার ওই আইন পাসের পর চারটি দেশের এক যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়, করোনা মহামারির মধ্যেই এমন পদক্ষেপ নিয়ে বেইজিং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের আস্থা ক্ষুণ্ন করছে।
একই সঙ্গে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা ব্যাহত করার ঝুঁকিও নিচ্ছে তারা । খবর রয়টার্স, আল জাজিরার।
বিবৃতিতে বলা হয়, এ আইন চাপিয়ে দেওয়া হলে হংকংয়ের স্বায়ত্তশাসন আর অবশিষ্ট থাকবে না। এতে করে মানুষের স্বাধীনতা সীমিত হয়ে পড়বে। ‘এক দেশ, দুই নীতি’ও অকার্যকর হয়ে পড়বে ।তাছাড়া নতুন জাতীয় নিরাপত্তা আইন চাপিয়ে দেওয়া আন্তর্জাতিক বাধ্যবাধকতার সঙ্গে সাংঘর্ষিকও। জাতিসংঘ নিবন্ধিত চীন-ব্রিটিশ যৌথ ঘোষণা অনুযায়ী এটি অবৈধ।
চার দেশ বলছে, হংকংয়ের বিক্ষোভ-উত্তেজনা প্রশমনের একমাত্র উপায় হচ্ছে, সেখানকার বাসিন্দাদের নিজ নিজ অধিকার ও স্বাধীনতা ফিরিয়ে দিয়ে তাদের মধ্যে আস্থার পরিবেশ তৈরি করা। সরকার ও জনগণের মধ্যে ‘পারস্পরিকভাবে গ্রহণযোগ্য’ একটি পথ খুঁজে বের করতে হবে। পশ্চিমা দেশগুলোর নিন্দা অবশ্য পাত্তা দিচ্ছে না চীন।
এ সমালোচনাকে ‘নির্লজ্জ’ হিসেবে আখ্যায়িত করে দেশটিবলেছে, ‘বিচ্ছিন্নতাবাদী’ আন্দোলন, ‘সন্ত্রাসবাদ’ ও বিদেশি হস্তক্ষেপ মোকাবিলায় আইনটি পাস করা জরুরি হয়ে পড়েছিল। বৃহস্পতিবার(২৮মে) বিতর্কিত এই বিলটির অনুমোদন দেয় চীনের ন্যাশনাল পিউপিল কংগ্রেস।
এদিকে বিলটির বিরুদ্ধে হংকংয়ে ব্যাপক বিক্ষোভ হয়েছে। বুধবার (২৭মে) স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলটির রাস্তায় হাজার হাজার মানুষ বিক্ষোভ করে। তাদের ওপর রাবার বুলেট ছুড়েছে পুলিশ। গ্রেফতার করা হয়েছে তিন শতাধিক মানুষকে।
Discussion about this post