আন্তর্জাতিক ডেস্ক
করোনায় দীর্ঘ লকডাউনের পর আগামীকাল সোমবার প্রথম ধাপে ‘আনলক’ হতে যাচ্ছে ভারত। তবে এর আগে লকডাউন শিথিলের পর থেকেই দেশটিতে হু হু করে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। রোববার সকালে ভারতের কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, আগের ২৪ ঘণ্টায় ভারতে ৯ হাজার ৯৭১ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে দেশে মোট করোনা আক্রান্ত হলেন ২ লাখ ৪৬ হাজার ৬২৮ জন। একদিনে মারা গেছেন ২৮৭ জন। এতে মোট প্রাণহানি দাঁড়ালো ৬ হাজার ৯২৯ জনে।
আক্রান্তের সংখ্যায় শনিবার স্পেনকে পিছনে ফেলে পঞ্চম স্থানে উঠে এসেছে ভারত। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ব্রাজিল ও রাশিয়ার পরই ভারতের অবস্থান। দেশটিতে এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১ লাখ ১৯ হাজার ২৯৩ জন। তাতে এই মুহূর্তে সক্রিয় রোগী রয়েছেন ১ লাখ ২০ হাজার ৪০৬ জন ৷ খবর এনডিটিভি ও টাইমস অব ইন্ডিয়ার।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দেওয়া তথ্যমতে, সংক্রমণের দিক থেকে তালিকার শীর্ষে মহারাষ্ট্র রাজ্য। গত ২৪ ঘণ্টায় এ রাজ্যে ২ হাজার ৭৩৯ জন সংক্রমিত। এ রাজ্যে মোট করোনা আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় ৮৩ হাজার।
করোনায় আক্রান্তের দিক থেকে দ্বিতীয় স্থানে তামিলনাড়ু রাজ্য। এ রাজ্যে মোট আক্রান্ত ৩০ হাজার ছাড়িয়েছে। গত এক সপ্তাহ ধরে প্রতিদিন এ রাজ্যে এক হাজারের বেশি লোক করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন।
আক্রান্তের দিক থেকে তৃতীয় স্থানে রয়েছে দিল্লি। এ রাজ্যে প্রতিদিনি আক্রান্ত হচ্ছে এক হাজারের বেশি মানুষ। এ রাজ্যে মোট আক্রান্ত ২৭ হাজা ৬৫৪ জন। এ রাজ্যে এ পর্যন্ত করোনায় মারা গেছেন ৭৬১ জন। এরপর গুজরাট রাজ্যে এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় ২০ হাজার। এছাড়া পশ্চিমবঙ্গেও আক্রান্ত হয়েছে ৭ হাজার ৭৩৮ জন।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মধ্যে করোনা আক্রান্তের পরিসংখ্যানে ৫ নম্বরে উঠে এসেছে ভারত। ফলে উদ্বেগ বাড়ছে।
দেশটিতে এতো বেশি আক্রান্তের বিষয়ে দিল্লির এইমস হাসপাতালের চিকিৎসক রণদীপ গুলেরিয়া বলেন, ‘প্রতিদিন এভাবে মাত্রাছাড়া সংক্রমণ আরও দু’-তিন মাস চলবে। তবে এখনও গোষ্ঠী সংক্রমণের খবর নেই।’
তবে এমন পরিস্থিতির মধ্যেও দেশে শুরু হয়েছে আনলক প্রক্রিয়া ৷ অর্থাৎ ধীরে ধীরে সবকিছু স্বাভাবিক করার চেষ্টায় রয়েছে ভারত। সোমবার থেকে দেশজুড়ে শপিং মল, রেস্তোরাঁ এবং মসজিদ, মন্দিরসহ ধর্মীয় স্থানগুলো খোলার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। কেবল দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি চিন্তা করেই লকডাউন খুলে দিচ্ছে দেশটি।
Discussion about this post