আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আসছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে নয়, বরং ডেমোক্রেট মনোনীত প্রার্থী জো বাইডেনকে ভোট দেবেন বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও মার্কিন সেনাবাহিনীর চার তারকা জেনারেল কলিন পাওয়েল। আর এ কারণে কলিন পাওয়েলের ওপর বেজায় খেপেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
রিপাবলিকান দলের কৃষ্ণাঙ্গ নেতা কলিন পাওয়েল সাবেক প্রেসিডেন্ট জর্জ বুশের প্রশাসনে ছিলেন। স্পষ্টবাদী হিসেবে পরিচিত কলিন পাওয়েল ২০১৬ সালের নির্বাচনের আগেই বলেছিলেন, দলের হলেও ট্রাম্পকে তিনি ভোট দেবেন না। ৭ জুন আবার তিনি একই কথা বলেছেন। তিনি বলেন, পরিস্থিতি এবারে আরও নাজুক। তাই ট্রাম্পকে নয়, আসছে নির্বাচনে ডেমোক্রেট মনোনীত জো বাইডেনকে তিনি ভোট দেবেন।
সিএনএনের ‘স্টেট অব দ্য ইউনিয়ন’ অনুষ্ঠানে কলিন পাওয়েল এ কথা বলার পরই চরম খেপেছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। জর্জ ফ্লয়েডের হত্যার প্রতিবাদে আমেরিকাজুড়ে উত্তাল বিক্ষোভের এ সময়ে কলিন পাওয়েলের বক্তব্য নিয়ে ট্রাম্প দ্রুত প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন।
৭ জুন এক টুইট বার্তায় ট্রাম্প বলেছেন, ‘কলিন পাওয়েল একজন সত্যিকারের কট্টর লোক। তিনি আমাদের মধ্যপ্রাচ্যের ধ্বংসাত্মক যুদ্ধে নামার জন্য অত্যন্ত দায়িত্বশীল ছিলেন। এবার কঠোর ঘোষণা দিয়েছেন যে স্লিপি জো বাইডেনকে তিনি ভোট দেবেন।’
মার্কিন সেনাবাহিনীতে সম্মানের সঙ্গে জেনারেল কলিন পাওয়েলের নাম উচ্চারিত হয়। এ দেশের কৃষ্ণাঙ্গদের কাছেও তাঁর গ্রহণযোগ্যতা অনেক। আমেরিকার রাজনীতিতে রিপাবলিকান পার্টির মধ্যে কলিন পাওয়েলকে একজন গুরুত্বপূর্ণ কৃষ্ণাঙ্গ আমেরিকান হিসেবে দেখা হয়। স্টেট অব দ্য ইউনিয়ন অনুষ্ঠানে কলিন পাওয়েল পুলিশি সহিংসতার জের ধরে দেশজুড়ে বিক্ষোভ দমনে সেনা ব্যবহার নিয়ে প্রশাসনের সামরিক কর্মকর্তাদের সমালোচনাকে সমর্থন করেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের একটি সংবিধান আছে এবং আমাদের তা অনুসরণ করতে হবে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সংবিধান থেকে সরে আসছেন বলে তিনি উল্লেখ করেন।’
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সাবেক প্রতিরক্ষা সেক্রেটারি জেমস ম্যাটিস এর আগে বলেছিলেন, ট্রাম্প জীবদ্দশায় দেখা প্রথম প্রেসিডেন্ট, যিনি জাতিকে বিভক্ত করতে চেষ্টা করছেন।
শুধু কলিন পাওয়েল নন, গুরুত্বপূর্ণ রিপাবলিকানরাও মুখ খুলতে শুরু করেছেন। রিপাবলিকান সিনেটর মিট রমনি, সিনেটর লিসা মুরকোস্কি জেমস ম্যাটিসের অবস্থানকে সমর্থন করে বলেছেন, তাঁদেরও প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে সমর্থন করতে নিজেদের সঙ্গে লড়াই করতে হচ্ছে।
Discussion about this post