আন্তর্জাতিক ডেস্ক
চীনে করোনাভাইরাস সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ কি শুরু হয়ে গেল? উত্তর হ্যাঁ কি না তা পুরোপুরি নিশ্চিতভাবে বলা না গেলেও সাম্প্রতিক ঘটনাগুলো থেকে তেমনটাই আশঙ্কা করা হচ্ছে। স্থানীয়ভাবে সংক্রমণ ফের ছড়িয়ে পড়ায় বন্ধ করে দেয়া হয়েছে বেইজিংয়ের দু’টি প্রধান পাইকারি বাজার। কিছু এলাকায় জারি করা হয়েছে যুদ্ধকালীন সতর্কতা। এছাড়া, স্কুল খোলার সিদ্ধান্ত থেকেও পিছিয়ে এসেছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ। আর এসবই করা হয়েছে চীনের রাজধানী শহরটিতে নতুন করে করোনা সংক্রমণ শুরু হওয়ায়।
গত বৃহস্পতিবার টানা ৫৬ দিন পর প্রথমবারের মতো নতুন রোগী শনাক্ত হয় বেইজিংয়ে। এর পরের দিনই পাওয়া যায় আরও দু’জন। শুক্রবারের(১২জুন) দুই রোগী ফেংতাই জেলার বাসিন্দা। তারা বেইজিংয়ের একটি মাংস গবেষণা কেন্দ্রে কাজ করেন।
ফেংতাইয়ের দুই রোগী কীভাবে করোনায় আক্রান্ত হলেন তা এখনও নিশ্চিত নয়। দু’জন জানিয়েছেন, তারা সম্প্রতি বিদেশফেরত কারও সঙ্গে দেখাও করেননি।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, নতুন শনাক্ত করোনা রোগীদের কয়েকজন সম্প্রতি বেইজিংয়ের শিনফাদি পাইকারে বাজারে গিয়েছিলেন জানার পরপরই সেটি লকডাউন করে দেয় প্রশাসন। একই কারণে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে জিংশেন সি-ফুড মার্কেটও। নতুন রোগীরা যে এলাকায় থাকেন সেখানেও চলাচলে দেয়া হয়েছে কড়া নিষেধাজ্ঞা।
এদিকে, করোনা সংক্রমণের কারণে আগামী ১৫ জুন প্রথম থেকে তৃতীয় গ্রেডের শিক্ষার্থীদের জন্য স্কুল চালুর সিদ্ধান্ত বাতিল করেছে বেইজিং। এছাড়া, সব সিনেমা হল, বার, খেলাধুলার ইভেন্টও বন্ধ রাখা হয়েছে। কবে নাগাদ সেগুলো ফের চালু হবে তা নিশ্চিত করেনি চীনা কর্তৃপক্ষ।
Discussion about this post