আন্তর্জাতিক ডেস্ক
করোনাভাইরাস মোকাবিলায় সম্ভাব্য ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা ও নিরাপত্তা পরীক্ষায় মডার্নাকে আরও ৪৭২ মিলিয়ন ডলার দিল যুক্তরাষ্ট্র। রোববার মার্কিন বায়োটেক কোম্পানিটি জানিয়েছে, তাদের তৈরি ভ্যাকসিনের তৃতীয় ধাপের ট্রায়ালের মাত্র একদিন আগেই এ বিপুল পরিমাণ অর্থ দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের বায়োমেডিকেল অ্যাডভান্সড রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অথোরিটি বা বারডা।
এই অর্থ যুক্তরাষ্ট্রে ৩০ হাজার মানুষের ওপর ভ্যাকসিনের ট্রায়ালে সহায়তা করবে বলে জানিয়েছে মডার্না।
যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আর ১০০ দিনও বাকি নেই। আগামী নভেম্বরে অনুষ্ঠিত হবে তাদের ভোটগ্রহণ। এর আগেই কার্যকর ভ্যাকসিন উন্মুক্ত করে জনতার মন জেতার আশা করছে ট্রাম্প প্রশাসন। এ কারণে দেশটির কেন্দ্রীয় সরকার করোনা ভ্যাকসিনের গবেষণা ও উৎপাদনে বিপুল পরিমাণ অর্থ ঢালতে শুরু করেছে। চলতি মাসের শুরুতেই কোভিড-১৯ রোগীদের উপযুক্ত চিকিৎসা গবেষণায় ৪৫০ মিলিয়ন ডলার এবং নোভাভ্যাক্সের তৈরি ভ্যাকসিনের ট্রায়ালের জন্য ১ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলার দিয়েছে মার্কিন সরকার।
মডার্নাও আগে একবার ৪৮৩ মিলিয়ন ডলার পেয়েছিল ভ্যাকসিনের জন্য। ফলে বারডার কাছ থেকে তাদের মোট অর্থপ্রাপ্তির পরিমাণও প্রায় এক বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে। মডার্নার ভ্যাকসিন গবেষণায় যৌথভাবে কাজ করছে ট্রাম্পের স্বাস্থ্য উপদেষ্টা ডা. অ্যান্থনি ফউসি পরিচালিত ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব অ্যালার্জি অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস।
সম্ভাব্য করোন ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা সম্পর্কে গবেষকরা এখনও নিশ্চিত না হলেও এ নিয়ে বেশ আশাবাদী মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। গত সপ্তাহেও তিনি বলেছেন, আমরা কার্যকর ভ্যাকসিনের খুব কাছাকাছি চলে এসেছি। আমি মনে করি, শিগগিরই কিছু সুখবর পাবো।
তবে ট্রাম্প আশাবাদী হলেও তার সরকারের করোনা মোকাবিলায় দক্ষতার ওপর মার্কিনিদের আস্থা একেবারেই কম। অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস-এনওআরসি সেন্টার ফর পাবলিক অ্যাফেয়ার্স রিসার্চ পরিচালিত সবশেষ জরিপে দেখা গেছে, প্রতি তিনজন মার্কিন নাগরিকের মধ্যে মাত্র একজন করোনা নিয়ন্ত্রণে ট্রাম্প প্রশাসনের নেয়া পদক্ষেপকে সমর্থন করছেন।
সূত্র: পলিটিকো
Discussion about this post