আন্তর্জাতিক ডেস্ক
সম্প্রতি ভারতের সীমান্ত নিয়ে বেশ টানটান উত্তেজনার মধ্যেও পাকিস্তানের সঙ্গে তিন বছরের জন্য ভয়ঙ্কর জীবাণু অস্ত্র তৈরির ব্যাপারে একটি গোপন চুক্তি করেছে চীন। তারা এর মধ্যে ইসলামাবাদকে অ্যানথ্রাক্সসহ বেশ কয়েকটি ভাইরাস নিয়ে গবেষণার তথ্য ও অন্যান্য সরঞ্জাম দিয়েছে।
চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে গত বছরে ডিসেম্বরের শেষের দিকে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত প্রথম রোগী পাওয়া যায়। উহান ইন্সটিটিউট অব ভাইরোলজি থেকে ওই ভাইরাস ছড়িয়ে গেছে বলে দাবি জানান যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা কিছু দেশ। মহামারী করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণ করতে না পারায় অনেক সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে চীনকে।
তবে অ্যানথনি ক্লান এক প্রতিবেদনে বলেছেন, পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর প্রতিরক্ষা বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তি সংস্থার (ডিইএসটিও) সঙ্গে উহান ইন্সটিটিউট অস্ত্র তৈরি এবং এসব নিয়ন্ত্রণে রেখে কাজে লাগানোর ব্যাপারে চুক্তি করেছে।
অ্যানথনি ক্লান গোয়েন্দা সূত্রের বরাত দিয়ে বলেছেন, ‘চীন গোপন চুক্তির ব্যাপারে গুরুতর উদ্বেগে রয়েছে। আর এই কারণেই আন্তর্জাতিক চাপ থেকে নিজেদেরকে বাঁচাতে অন্য কোনো দেশে এসব জীবাণু অস্ত্র পরীক্ষা করতে পারে বেইজিং।
অন্যদিকে চীনের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে যে, ‘চীন প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত করার পরেও খোলাখুলিভাবে যে গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো দেওয়া দরকার সেটি প্রাদুর্ভাবের প্রথমদিকে প্রকাশ করেনি। যদি শুরুতেই তথ্যগুলো প্রকাশ করতো তাহলে মহামারীটি আরো শক্তভাবে মোকাবিলা করা সহজ হতো।’
অ্যানথনি আরো বলেছেন, জীবাণু অস্ত্র তৈরি করতে পাকিস্তানকে এর মধ্যেই বেশি কিছু মারাত্মক ভাইরাস দিয়েছে চীনের উহান গবেষণাগার। সেগুলার মধ্যে সবচেয়ে ভয়ংকর জীবাণু হচ্ছে অ্যানথ্রাক্স ও সমগোত্রের আরেকটি জীবাণু। জীবাণুগুলো কিভাবে সংরক্ষণ করতে হবে এবং প্রয়োজনে আরো কিভাবে বেশি বেশি তৈরি করা যায় সেই প্রযুক্তিও পাকিস্তানকে দিয়েছে বেইজিং।
প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, পাকিস্তানের বিশ্ববিদ্যালয় ও সরকারি স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে জীবাণু সংক্রান্ত চুক্তিটি আলাদা রাখা হয়েছে। কিন্তু এটি আসলে ঠিক কি কাজে ব্যবহার করবে সে বিষয়টিও গোপন রাখা হয়েছে।
সূত্র : ইকোনমিকস টাইমস।
Discussion about this post