অনলাইন ডেস্ক
ভারতের দখলে থাকা বিতর্কিত ভূখণ্ড ‘কালাপানি, লিপুলেখ এবং লিম্পিয়াধুরাকে’ অন্তর্ভুক্ত করে নতুন মানচিত্র জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোকে পাঠানোর উদ্যোগ নিয়েছে নেপাল। পাশাপাশি ইংরেজিতে বইও ছাপাতে চলেছে দেশটির সরকার। তাতেও নেপালের সংশোধিত মানচিত্র থাকবে।
শনিবার বিষয়টি প্রকাশ করেন দেশটির এক মন্ত্রী। গত জুনে ওই ভূমি অন্তর্ভুক্ত করে সংশোধিত মানচিত্র সংসদে পাস করিয়ে নেয় সরকার। এ নিয়ে ভারতের সঙ্গে তাদের কূটনৈতিক উত্তেজনাও তৈরি হয়। খবর এনডিটিভির।
নেপালের ভূমি ব্যবস্থাপনা মন্ত্রী পদ্মা আরিয়াল বলেন, ‘আমরা কালাপানি, লিপুলেখ এবং লিম্পিয়াধুরাকে সংযুক্ত করে সংশোধিত মানচিত্র খুব শিগগিরই আন্তর্জাতিক গোষ্ঠীর কাছে পাঠাচ্ছি।’
মন্ত্রণালয় নতুন মানচিত্রের ৪ হাজার কপি ইংরেজিতে প্রিন্ট করেছে। এগুলোই জাতিসংঘসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গোষ্ঠীর কাছে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। তাছাড়া আরও ২৫ হাজার কপি নিজেদের ভাষায় প্রিন্ট করে দেশব্যাপী বিতরণ করেছে।
মন্ত্রী আরও জানান, চলতি মাসের মাঝামাঝি আন্তর্জাতিক গোষ্ঠীগুলোর হাতে তাদের মানচিত্র পৌঁছে যাবে।
এই মানচিত্রে বর্তমানে ভারতের নিয়ন্ত্রণে থাকা তাদের দেশের তিনটি অংশ- কালাপানি, লিপুলেখ এবং লিম্পিয়াধুরা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
কালাপানি, লিপুলেখ এবং লিম্পিয়াধুরা- এই তিনটি অংশই রয়েছে নেপালের উত্তর-পশ্চিমে। এর দক্ষিণে ভারতের কুমায়ুন এবং উত্তরে চীনের তিব্বত। এই ভূখণ্ডটি ভারত, নেপাল ও চীনের একটি সংযোগস্থল হওয়ায় কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হয়।
নেপাল ও ভারতের মধ্যে ১৬ হাজার কিলোমিটারের বেশি খোলা সীমান্ত রয়েছে। তার মধ্যে বেশ কয়েকটি জায়গা নিয়ে দু’দেশের মধ্যে বিরোধ রয়েছে।
গত ৮ মে লিপুলেখ থেকে ধরচুলা পর্যন্ত সড়ক উদ্বোধন করেন ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। এর পরই ভারতের সঙ্গে নতুন করে সীমান্ত বিরোধে জড়িয়ে পড়ে নেপাল।
Discussion about this post