অনলাইন ডেস্ক
বৈরুতে জোড়া বিস্ফোরণে দুই বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন। তারা হলেন, মেহেদি হাসান ও মিজানুর রহমান। তারা আশরাফি এলাকায় নিহত হয়েছেন। এছাড়া আট শ্রমিক রফিক হারিরি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। মঙ্গলবার (৪ আগস্ট) রাতে ৪৯ জন প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন বলে জানিয়েছেন হেড অব চ্যান্সেরি আবদুল্লাহ আল মামুন।
এছাড়া নৌবাহিনীর ২১ জন সদস্য আহত হয়েছেন। এরমধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। লেবাননে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল মোহাম্মাদ জাহাঙ্গির আল মোসতাহিদুর রহমান একথা জানিয়েছেন।
নৌবাহিনীর সদস্যদের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘দুজনের অবস্থা কিছুটা খারাপ ছিল। তাদের আমেরিকান হাসপাতালে ভর্তি করার পরে একজনের পরিস্থিতি উন্নতি হলে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। বাকিরা জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা নিচ্ছেন।’
নৌবাহিনীর ১১০ সদস্যের বাকি ৮১ জন কোথায় আছেন– জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘তারা সবাই জাহাজে আছেন এবং ভালো আছেন।’
বিএনএস বিজয় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘ক্ষতির পরিমাণ এখন বলা যাবে না।’
রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘আমরা পররাষ্ট্র ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি লেবাননে অবস্থিত বাংলাদেশিদের কারও কোনও সমস্যা আছে কিনা জানার জন্য।’
তিনি বলেন, ‘আমরা মঙ্গলবার বন্দর এলাকায় ব্যস্ত ছিলাম এবং দু’টি হাসপাতালে খোঁজ নিয়েছিলাম কোনও বাংলাদেশে আছে কিনা। আজকে আমরা সব জায়গায় খোঁজ নেবো।’
রৈরুতের বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘এখানে যোগাযোগ ও বিদ্যুৎ ব্যবস্থা বিঘ্নিত হয়েছে। সে কারণে অনেকের সঙ্গে যোগাযোগ করতে সমস্যা হচ্ছে।’
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার বিকালে রাজধানী বৈরুতের বন্দর এলাকায় জোড়া বিস্ফোরণ ঘটে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৭৮ জন নিহত এবং চার হাজার জন আহত হয়েছেন। প্রত্যক্ষদর্শীর বরাতে রয়টার্স জানিয়েছে, বিস্ফোরণে পুরো বৈরুত শহর ভূমিকম্পের মতো কেঁপে উঠেছিল। ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়া বিভিন্ন ভিডিওতে দেখা যায়, বৈরুতের বন্দর এলাকা থেকে বড়ু গম্বুজ আকারে ধোঁয়া উড়ছে, এর কিছুক্ষণের মধ্যে বিকট বিস্ফোরণে গাড়ি, ভবন উড়ে যেতে দেখা যায়।
Discussion about this post