আন্তর্জাতিক ডেস্ক
মার্কিন কোম্পানি ফাইজার ও জার্মান বায়োএনটেকের তৈরি সম্ভাব্য করোনা ভ্যাকসিনের শেষ ধাপের ট্রায়াল চলছে। এই ট্রায়ায়েল অংশ নেওয়ার জন্য নথিভূক্ত অনেকের দে অংশ নিতে নথিভুক্ত ১১ হাজার মার্কিনীর প্রতি পাঁচজনের একজন কৃষ্ণাঙ্গ কিংবা লাতিন। ভাইরাসটিতে বিশেষভাবে এসব জনগোষ্ঠী সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়েছেন।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এ তথ্য জানান ফাইজারের শীর্ষস্থানীয় এক নির্বাহী কর্মকর্তা। প্রসঙ্গত, কোম্পানি দুটির তৈরি করোনা ভ্যাকসিনের পরীক্ষার শেষ ধাপে যুক্তরাষ্ট্রে ৩০ হাজার স্বেচ্ছাসেবী অংশ নিচ্ছেন।
রয়টার্সকে দেয়া সাক্ষাতকারে ফাইজারের ভ্যাকসিন ক্লিনিকাল রিসার্চ দলের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট উইলিয়াম গ্রুবার জানান, ‘শতকরা ১৯ ভাগ কিংবা তারও বেশি লাতিন এবং কৃষ্ণাঙ্গ বা আফ্রিকান-আমেরিকান জনগোষ্ঠীর দেহে পুশ করার মাধ্যমে আমরা আমাদের ভ্যাকসিনটির পরীক্ষা চালাচ্ছি।’
গবেষণায় দেখা গেছে, করোনাভাইরাসে শ্বেতাঙ্গ আমেরিকানদের চেয়ে কৃষ্ণাঙ্গ এবং লাতিন আমেরিকানরা দ্বিগুণের বেশি আক্রান্ত হয়েছেন। অধিক মাত্রায় করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন নেটিভ আমেরিকানরা। ঐতিহাসিকভাবে ভ্যাকসিন পরীক্ষায় এই জনগোষ্ঠী উপেক্ষিত হয়ে আসছে।
ফাইজার ও বায়োএনটেক তাদের যৌথভাবে তৈরি ভ্যাকসিনের শেষ ধাপের পরীক্ষা চালাচ্ছে। ইতোমধ্যে কিছু অংশগ্রহণকারী ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজটি নিয়েছেন।
ঝুঁকিতে থাকা জনগোষ্ঠীর আস্থা তৈরির জন্য চিকিৎসক ও বিজ্ঞানীরা কোম্পানিগুলোকে কৃষ্ণাঙ্গ, লাতিন এবং নেটিভ আমেরিকানদের পরীক্ষামূলক ট্রায়ালে অর্ন্তভূক্ত করার আহবান জানিয়ে আসছেন।
গ্রুবার বলেন, এসব জনগোষ্ঠীকে অন্তর্ভূক্ত করতে অনেক প্রচার চালিয়েছি। করোনায় সবচেয়ে বেশি অসুস্থ হওয়ায় তাদের ওপর ট্রায়াল চালাতে আগ্রহী হই আমরা। এ ছাড়া তাদের মধ্যে আক্রান্তের হারও সবচেয়ে বেশি। এতে অংশ নেয়ায় সম্ভবত তারাই বেশি উপকৃত হবেন বলে জানান তিনি।
গত মে মাসে রয়টার্স/ইপসসের করা এক জরিপে দেখা যাচ্ছে, কৃষ্ণাঙ্গ আমেরিকানদের প্রায় অর্ধেক মানুষই করোনার ভ্যাকসিন নিতে খুব আগ্রহী।
ট্রায়ালের জন্য কতজন নেটিভ আমেরিকান অংশ নিচ্ছেন তা না জানিয়ে গ্রুবার বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে প্রিভনার-৭ নিউমোকোকাল ভ্যাকসিনটির পরীক্ষা চালানোর পরিকল্পনা রয়েছে ফাইজারের। তিনি বলেন, ‘আমি আশাবাদী, এই সম্প্রদায়কে আমরা আরও অন্তর্ভূক্ত করতে সক্ষম হবো।’
Discussion about this post