আন্তর্জাতিক ডেস্ক
বিমান খাত সংশ্লিষ্ট কর্মীদের জন্য পরীক্ষামূলক ভ্যাকসিনের প্রস্তাব দিয়েছে চীন। বার্তা সংস্থা রয়টার্স চীনা কর্তৃপক্ষের দেয়া এ সংক্রান্ত একটি নোটিশ দেখেছে। অর্থনৈতিক কার্যক্রম সচল করে দেয়ায় নতুন করে ভাইরাসটির সংক্রমণ ঠেকাতে করোনার উচ্চঝুঁকিতে থাকা এসব কর্মীকে ভ্যাকসিনটি দেয়া হবে।
চীনের তৈরি করোনাভাইরাসের সম্ভাব্য চারটি ভ্যাকসিন এখন হিউম্যান ট্রায়ালের শেষ ধাপে রয়েছে। মানুষের মধ্যে রোগটি প্রতিরোধে সক্ষম করে তুলতে গত জুলাইয়ে সীমান্ত পরিদর্শক, সামরিক বাহিনী ও মেডিকেল খাতের কর্মীদের জন্য দেশটির সরকার কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন দেয়।
চীনা কর্তৃপক্ষের ওই নোটিশে দেখা যাচ্ছে, চীনের বিমান সংস্থাগুলোর, বিমানবন্দর, বিমান জ্বালানি খাত এবং ট্রাভেলস্কাই টেকনোলোজিস লিমিটেডের ফ্রন্টলাইন কর্মীদেরকে স্বেচ্ছাভিত্তিতে ভ্যাকসিন দেয়া হবে।
নোটিশ অনুযায়ী স্বেচ্ছায় ভ্যাকসিন নিতে আগ্রহী এমন কর্মীদের একটি তালিকা করে তা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে দেয়ার জন্য চীনের বেসামরিক বিমান পরিবহন কর্তৃপক্ষকে ইতোমধ্যে নির্দেশ দিয়েছে দেশটির সরকার।
নোটিশে বলা হচ্ছে, ‘আগামী শীত ও বসন্তে নতুন করে সম্ভাব্য দ্বিতীয় দফা করোনা সংক্রমণের শঙ্কার কারণে এবং মহামারি সত্ত্বেও বিমান চলাচল শুরু হওয়া পশ্চিমা দেশগুলোতে থেকে আসার মানুষদের মাধ্যমে করোনার সংক্রমণ থেকে সংশ্লিষ্ট খাতের কর্মীদের সুরক্ষিত করতেই এমন ভ্যাকসিন প্রয়োগের পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।’
Discussion about this post