আন্তর্জাতিক ডেস্ক
কিছু কিছু প্রদেশে ইতোমধ্যে দ্বিতীয় পর্যায়ের করোনা সংক্রমণ শুরু হয়ে গেছে। তবে কানাডিয়ানরা সব পরিস্থিতি মোকাবিলা করার ক্ষমতা রাখেন। ব্রিটিশ কলম্বিয়া, আলবার্টা, অর্ন্টারিও এবং কিউবেকে ভাইরাসটির সেকেন্ড ওয়েভ চলছে।
বুধবার সন্ধ্যায় কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো তার ওয়স্ট ব্লক অফিস থেকে জাতির উদ্দেশ্যে দেয়া ভাষণে এ কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘আমরা একটি পতনের দ্বারপ্রান্তে রয়েছি যা বসন্তের চেয়ে আরও খারাপ হতে পারে। সংক্রমণের হার জাতীয় পর্যায়ে বেড়েছে। বুধবারও সংক্রমণের হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২৪৮ জনে’।
তিনি ভাষণে বলেন, কানাডিয়ান হিসেবে এখনই আমাদের সময় দেশের জন্য জন্য কিছু করার। সরকার জনসাধারণের জন্য প্রতিনিয়তই কাজ করে চলেছে। সবাইকে সতর্ক হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
প্রধান জনস্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. থেরেসা ট্যামকে এখন সংক্রমণ প্রতিরোধের ব্যবস্থা দ্বিগুণ করতে বলেছে সরকার। অক্টোবরে ও আসন্ন শীত মৌসুমে পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, তা নিয়েই চিন্তায় আছে দেশটির স্বাস্থ্য বিভাগ।
কানাডা স্টেজ-৩ বা লকডাউনের তৃতীয় ধাপে উঠে এসেছিল। এখন মাস্কবিহীন চলাফেরা, শারীরিক দূরত্ব বজায় না রাখা, বারবিকিউ পার্টি, গেটটুগেদার, বার-ক্লাবে ভিড় ইত্যাদি কারণে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এখন পর্যন্ত কানাডায় ১ লাখ ৪৩ হাজার ৬৫৯ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। মারা গেছেন ৯ হাজার ২১৭ জন। গত ৮ মার্চ করোনায় প্রথম মারা যায় ভ্যাংকোভারে। মৃত্যুর তালিকায় ১৩ জন বাংলাদেশিও রয়েছেন।
Discussion about this post