আন্তর্জাতিক ডেস্ক
যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের পানিতে এক ধরনের ‘মগজ খেকো’ অ্যামিবার সন্ধান পাওয়া গেছে। সে কারণে ওই অঙ্গরাজ্যের ৮টি শহরে সতর্কতা জারি করেছে স্থানীয় প্রশাসন। টেক্সাসের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে সরবরাহকৃত পানিতে ‘মগজ খেকো’ অ্যামিবার অস্তিত্ব পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। খবর সিএনএন।
যেসব এলাকার পানিতে এ ধরনের জীবানু পাওয়া গেছে সেখানে দুর্যোগকালীন সতর্কতা জারি করেছে কর্তৃপক্ষ। স্থানীয় বাসিন্দাদের ব্রেজোস্পোর্ট অথরিটির সরবরাহকৃত পানি পানে সতর্কতা জারি করে যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস কমিশন অন ইনভাইরনমেন্টাল কোয়ালিটি।
এক সতর্কতায় জানানো হয়েছে যে, ভয়াবহ এই সংকট সমাধানে গভর্নরের কার্যালয় থেকে দেওয়া নির্দেশনা অনুযায়ী ব্রেজোস্পোর্ট ওয়াটার অথরিটির সঙ্গে কাজ করছে টেক্সাস কমিশন অন ইনভাইরনমেন্টাল কোয়ালিটি। যত দ্রুত সম্ভব এই সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার্স ফর ডিজেজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনসন (সিডিসি) জানিয়েছে, এ ধরনের ‘মগজ খেকো’ অ্যামিবা সাধারণত মাটি, উষ্ণ পানির লেক, নদী এবং উষ্ণ ঝরনার পানিতে পাওয়া যায়। সুইমিংপুলে অপরিষ্কার এবং জীবানুমুক্ত না করা পানি ও শিল্পকারখানার উষ্ণ পানি পড়ে এমন জায়গাতেও এ ধরনের অ্যামিবার দেখা মিলতে পারে।
টেক্সাসের লেক জনসন, ফ্রিপোর্ট, অ্যাংলেটন, ব্রাজোরিয়া, রিচউড, ওয়েস্টার ক্রেক, ক্লুট এবং রোজেনবার্গের বাসিন্দাদের সরবরাহকৃত পানি পান না করার জন্য সতর্ক করা হয়েছে। একই সঙ্গে ফ্রিপোর্টের ডো কেমিক্যাল প্লান্ট এবং ওয়েনি স্কট টেক্সাস ডিপার্টমেন্ট অব ক্রিমিনাল জাস্টিসের বিভিন্ন ভবনেও পানি পানে সতর্ক করা হয়েছে।
গত ৮ সেপ্টেম্বর প্রথম ৬ বছর বয়সী এক শিশুর দেহে এই ‘মগজ খেকো’ অ্যামিবার অস্তিত্ব পাওয়া যায়। শিশুটিকে অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হলে এ বিষয়ে শহরের লোকজনকে সতর্ক করা হয়।
কর্তৃপক্ষ গত ২৫ সেপ্টেম্বর ১১টি জায়গা থেকে পানি সংগ্রহ করে নমুনা পরীক্ষা করেছে। সেখানে নেগলেরিয়া ফাওলেরির উপস্থিতি পাওয়া গেছে। সিডিসি বলছে, নেগলেরিয়া ফাওলেরি সংক্রমণের হার খুবই কম। ২০০৯ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে মাত্র ৩৪ জন এ ধরনের সংক্রমণে আক্রান্ত হয়েছে।
Discussion about this post