আন্তর্জাতিক ডেস্ক
কানাডা ডিসেম্বর শেষে যুক্তরাষ্ট্রের ফার্মাসিউটিক্যাল জায়ান্ট ফাইজার ও তাদের জার্মান অংশীদার বায়োএনটেক থেকে ২ লাখ ৪৯ হাজার ভ্যাকসিনের ডোজ পাবে বলে জানিয়েছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো । সোমবার (৭ ডিসেম্বর) স্থানীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা যায়।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ভ্যাকসিন প্রয়োগের জন্য স্বাস্থ্য কানাডার অনুমোদন এই সপ্তাহে আশা করা হচ্ছে এবং প্রথম শিপমেন্টগুলো খুব দ্রুত কানাডা পৌঁছাবে।
ভ্যাকসিন কাদেরকে আগে প্রয়োগ করা হবে এমন প্রশ্নে অন্টারিওর প্রিমিয়ার ডগ ফোর্ড বলেন, ভ্যাকসিন প্রাপ্তদের তালিকায় প্রথমেই রয়েছে শারীরিকভাবে দুর্বল ও ক্ষতিগ্রস্ত বৃদ্ধ ও তাদের তত্ত্বাবধায়ক এবং স্বাস্থ্যসেবায় নিয়োজিত কর্মীরা। এরপরে আদিবাসী সম্প্রদায়ের প্রাপ্তবয়স্করা, রিটায়ারমেন্ট হোমসের বাসিন্দা এবং দীর্ঘস্থায়ী স্বাস্থ্যসেবা গ্রহণকারীরাও অগ্রাধিকারের দলে থাকবেন। তবে টিকাগুলো অন্যদের কাছে ব্যাপকভাবে পৌঁছাতে এপ্রিল পর্যন্ত সময় লেগে যেতে পারে।
উল্লেখ্য, কানাডায় করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে মৃত্যুর মিছিলও যেন বেড়েই চলেছে। অনেক ক্ষেত্রে করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণ করতে প্রিমিয়ার ও প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের হিমশিম খেতে হচ্ছে। কানাডায় মৃত্যুর সংখ্যা ১২ হাজার ৭০০ ছাড়িয়েছে।
দেশটির প্রধান চারটি প্রদেশ অন্টারিও, বৃটিশ কলম্বিয়া, আলবার্টা এবং কুইবেকে নাটকীয়ভাবে করোনা শনাক্তের সংখ্যা বাড়ছে। আর করোনা শনাক্তের সংখ্যা বৃদ্ধির কারণে হাসপাতাল, নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রে তুলনামূলকভাবে ডাক্তার ও নার্সদের ওপর চাপ বাড়ছে।
দেশটির প্রধান জনস্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. থেরেসা ট্যাম কানাডিয়ানদের মহামারি চলাকালীন ছুটির মৌসুমে সংক্রমণ ঝুঁকি কমাতে জমায়েত সীমাবদ্ধ করা এবং প্রয়োজনীয় কাজ ছাড়া বাইরে না যাওয়ার ব্যাপারে আবারও সতর্ক করেছেন।
সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, দেশটিতে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৪ লাখ ১৯ হাজার ২৯৯ জন, মৃত্যু হয়েছে ১২ হাজার ৭২৬ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ৩ লাখ ৩৫ হাজার ৯৭০ জন।
কানাডায় একদিকে শীতের প্রকোপ অন্যদিকে করোনাভাইরাসের উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা। এরই মধ্যে প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর ভ্যাকসিন পাওয়ার ঘোষণা কানাডিয়ানদের অপেক্ষার পালা শেষ হবে বলে মনে করছেন অনেকে।
Discussion about this post