নতুন রূপে ছড়াতে শুরু করেছে করোনাভাইরাস।ব্রিটিশ সরকার মনে করছে, এই নতুন রূপের করোনাভাইরাসটির সংক্রমণ সক্ষমতা আগের চেয়েও বেশি। এটি খুব শক্তিশালী রূপ পেয়েছে।
লাখ লাখ মানুষের স্বাস্থ্যবিধি মেনে না চলাকেই এজন্য দায়ী করা হয়েছে। এর সংক্রমণ প্রতিরোধে সম্প্রতি ইংল্যান্ড, স্কটল্যান্ড এবং ওয়েলসের ক্রিসমাসে মানুষের ভিড় ঠেকাতে কঠোর নিষেধাজ্ঞা এবং যুক্তরাজ্যে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা দিতে বলা হয়েছে।
জানা গেছে, ব্রিটেনের প্রায় অর্ধশতাধিক স্থানে করোনাভাইরাসের নতুন স্ট্রেইনের খোঁজ পাওয়া গেছে। বিজ্ঞানীরা বলছেন, সেসব এলাকায় দ্রুতগতিতে সংক্রমণ বাড়ার পেছনে ভাইরাসের নতুন রূপটিই দায়ী। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে এ বিষয়ে জানানো হয়েছে এবং বিজ্ঞানীরা এটি নিয়ে গবেষণা করছেন।
মূলত তিনটি কারণে এই ভাইরাসের নতুন রূপটি সবার জন্য ভয়ের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। নতুন ভাইরাসটি এর অন্যান্য সংস্করণকে দ্রুত প্রতিস্থাপন করছে। এটিতে এমন মিউটেশন রয়েছে যা ভাইরাসের অংশকে প্রভাবিত করে। মিউটেশনের মাধ্যমে ভাইরাসটির সংক্রমিত হওয়ার ক্ষমতা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
এই ভাইরাসটি খুব দ্রুত ছড়াচ্ছে। ব্রিটেনে সেপ্টেম্বরে এটি প্রথম শনাক্ত করা হয়েছিল। নভেম্বর মাসে লন্ডনে শনাক্তের প্রায় এক চতুর্থাংশ ছিল নতুন রূপের করোনা। এটি ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ ক্ষেত্রে পৌঁছেছে।
চীনের উহান শহরে প্রথম যে ভাইরাসটি শনাক্ত করা হয়েছিল, তা পৃথিবীর বেশিরভাগ কোণে এখন আপনি খুঁজে পাবেন না। এর নূপ পুরোপুরি বদলে গেছে। এমনকি লন্ডনে ছড়ানো নতুন রূপের ভাইরাসটিও অন্য কোনও দেশ থেকে ছড়িয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। নেদারল্যান্ড ও ডেনমার্কে মিংক নামের প্রাণীর দেহ থেকেও করোনার নতুন ধরণের মিউটেশন হয়েছে।
তবে করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে যে ভ্যাক্সিন আসছে তা কাজ করবে বলেও মনে করছেন বিজ্ঞানীরা। তারা মনে করছেন, করোনা রূপ পরিবর্তন করলেও ভ্যাক্সিনে কাজ হবে কিন্তু গণহারে সবাই টিকা নেওয়ার পর করোনার স্পাইকে যদি আরও নতুন মিউটেশন হয় তাহলে ভ্যাক্সিনে কাজ হবে কানা সেটা চিন্তার বিষয়।
সূত্র: বিবিসি।
Discussion about this post