তবে এবার করোনার সংক্রমণ রোধে ক্রিসমাস ও নতুন বছর সামনে রেখে নতুন করে লকডাউন দিতে শুরু করেছে ইউরোপের বিভিন্ন দেশ।
এখন সময়টা মহামারির, এক ছোঁয়াচে ভাইরাসের সঙ্গে পুরো বছরজুড়ে লড়াই করছে বিশ্ব। এরই মাঝে আসছে ক্রিসমাস। তবে খ্রিস্টধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসবটিও এবার একসঙ্গে উদযাপন করতে পারবেন না বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মানুষ। কারণ, সংক্রমণ রোধে দেশে দেশে চলছে কঠোর লকডাউন।
যুক্তরাজ্যে নতুন ধরনের করোনাভাইরাসের সংক্রমণ দেখা দেয়ায় বড়দিন সামনে রেখে কঠোরবিধি আরোপ করেছে দেশটি। নতুন ভাইরাসটি করোনার চেয়ে দ্রুত ছড়িয়ে পড়বে এমন আশঙ্কা করছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, তবে এটি করোনার মতো প্রাণিঘাতী নয়। এমন পরিস্থিতিতে আগামী ৩০শে ডিসেম্বর পর্যন্ত নতুন করে লকডাউন বিধি আরোপ করা হয়েছে লন্ডন ও ইংল্যান্ডের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে। তবে অবস্থা বিবেচনায় লকডাউনের মেয়াদ বাড়তে পারে বলেও ধারণা করছেন বিশেষজ্ঞরা।
এদিক যুক্তরাজ্যে করোনার সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় আগামী ১লা জানুয়ারি পর্যন্ত ফ্লাইট বন্ধ ঘোষণা করেছে নেদারল্যান্ডস। সেখানেও চলছে পাঁচ সপ্তাহের লকডাউন, যা চলবে জানুয়ারির মাঝামাঝি পর্যন্ত।
জার্মানিতে করোনার সংক্রমণ বাড়ায় ১৬ই ডিসেম্বর থেকে থেকে স্কুল ও প্রয়োজনীয় নয় এমন ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ড বন্ধা রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে। নতুন এই বিধি থাকবে ১০ই জানুয়ারি পর্যন্ত। ফ্রান্সে দেয়া হয়েছে সান্ধ্যকালীন কারফিউ, জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কারফিউ ভাঙলে গুনতে হবে ১শ’ ৩৫ ইউরো জরিমানা।
ইতালিতেও নতুন করে লকডাউনের ঘোষণা দিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী জোসেপ্পে কন্তে। জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত সেখানে বন্ধ থাকবে অপ্রয়োজনীয় দোকান, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান,পানশালা ও রেস্তোর।
এদিকে ২৬শে ডিসেম্বর থেকে তৃতীয় দফায় লকডাউনে যাচ্ছে অস্ট্রিয়া।
এছাড়া অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে করোনার সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় সেখানে দেয়া হয়েছে ভ্রমন নিষেধাজ্ঞা। সিডনির সঙ্গে সীমান্ত বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভিক্টোরিয়া ও নিউ সাউথ ওয়েলস রাজ্যের প্রশাসন।
Discussion about this post