আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক চুক্তি ভেঙে ২০ শতাংশ পর্যন্ত ইউরেনিয়াম মজুত করতে চায় ইরান। এই পরিকল্পনার কথা তারা জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা (আইএইএ)-কে চিঠির মাধ্যমে জানিয়ে দিয়েছে।
আইএইএ শুক্রবার বিবৃতিতে বলেছে, ‘ইরান ২০ শতাংশ পর্যন্ত লো-এনরিচড ইউরেনিয়াম (এলইইউ) মজুত করতে চায়। ঠিক কবে তারা এই কাজ শুরু করবে, সেটি সংস্থার কাছে পাঠানো চিঠিতে জানানো হয়নি।’
জাতিসংঘের পরমাণু নজরদারি সংস্থা বলছে এটি এখন পর্যন্ত আন্তর্জাতিক পরমাণু চুক্তির সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য লঙ্ঘন।
একটি পারমাণবিক বোমা তৈরির জন্য শতকরা ৯০ ভাগের বেশি মাত্রার ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করা প্রয়োজন।
সে হিসেবে ইরানের কাছে এখনো ওই পরিমাণে ইউরেনিয়াম নেই। তবে ২০১৫ সালের চুক্তিতে ইরানের এই ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণের মাত্রা ৪ শতাংশের নিচে রাখার কথা ছিল।
আইএইএ জানিয়েছে, ইরান ২০ শতাংশ পর্যন্ত বিশুদ্ধ পরমাণু সমৃদ্ধকরণের বিষয়ে তাদের পরিকল্পনার কথা ফোর্ডো ফুয়েল এনরিচমেন্ট প্লান্টকে জানিয়েছে। ইরানের এই পরমাণু সমৃদ্ধকরণ প্রকল্পটি দেশটির একটি পাহাড়ের ভেতরে নির্মিত একটি স্থাপনায় চলবে।
২০১৯ সালের পরমাণু চুক্তিতে শর্ত দেয়া হয়েছিল যে ইরান ৩.৬৭ শতাংশের বেশি বিশুদ্ধ ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করতে পারবে না, কিন্তু সেই শর্ত তারা লঙ্ঘন করেছে। তবে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণের মাত্রা তখন থেকেই ৪.৫ শতাংশ পর্যন্ত স্থির রয়েছে।
ইরান নতুন একটি আইন করে জানিয়ে দিয়েছে, তাদের তেল ও আর্থিক খাতের ওপর যে নিষেধাজ্ঞাগুলো রয়েছে, তা দুই মাসের মধ্যে সহজতর না করলে সরকার বিশুদ্ধ ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করার কাজ আবারও শুরু করবে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ২০১৮ সালের মে মাসে ২০১৫ সালের পরমাণু চুক্তি থেকে বের হয়ে আসেন এবং তেহরানের বিরুদ্ধে কঠোর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন।
নতুন নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন অবশ্য বলেছেন যে তিনি চুক্তিতে যুক্তরাষ্ট্রকে ফিরিয়ে আনবেন এবং তেহরান যদি ‘পরমাণু চুক্তির শর্ত কঠোরভাবে মেনে চলে’ তাহলে নিষেধাজ্ঞাও প্রত্যাহার করা হবে।
Discussion about this post