আন্তর্জাতিক ডেস্ক
নতুন ধরনের করোনাভাইরাস এতটা ভয়ঙ্কর হতে পারে তার ধারণা ছিল না ব্রিটিশদের। এ ভয়াল থাবা থেকে ব্রিটেনবাসীকে বাঁচাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে সরকারকেও। অনবরত রোগীদের চাপ বাড়তে থাকার পাশাপাশি ভ্যাকসিন সঙ্কটও ভাবিয়ে তুলেছে দেশটির বাসিন্দাদের।
করোনা ভাইরাসে বিপর্যস্ত ব্রিটেনে মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে লাখের ঘরে। ভ্যাকসিন কার্যক্রম চালু থাকলেও প্রতিদিনই মৃতের সংখ্যার হাজারের উপরেই থাকছে। দেশটিতে করোনার নতুন স্ট্রেইনের ভয়াবহতা ভাবিয়ে তুলেছে সবাইকে। পরিস্থিতি অনুকূলে রাখতে যথাসাধ্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বৃটিশ সরকার।
লন্ডনের কুইন এলিজাবেথ হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. বিশ্বজিৎ রায় বলেন, নতুন স্ট্রেইনে সংক্রমণের হার অনেক বেশি। আক্রান্তের মধ্যে এর মারাত্মক প্রভাব লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এ কারণে মৃতের হারও বেশি।
ভ্যাকসিন সংকটের ফলে বারো সপ্তাহের মধ্যে দ্বিতীয় ডোজ দেওয়ার পরিকল্পনা করছে ব্রিটিশ সরকার। তবে, এটি কতটুকু বৈজ্ঞানিক সম্মত তা নিয়ে রয়েছে নানা প্রশ্ন।
লন্ডনের ইম্পেরিয়াল কলেজের ক্লিনিক্যাল লেকাচারার ডা. মনজুর শওকত বলেন, আমার কাছে সরকারের এ সিদ্ধান্ত ঝুঁকিপূর্ণ মনে হয়। ইতোমধ্যে ফাইজার-বায়োএনটেক সরকারকে সতর্ক করেছে।
ভ্যাকসিন উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো বলছে – মানবদেহে প্রথম ডোজ প্রয়োগের পর তিন থেকে চার সপ্তাহের মধ্যেই দ্বিতীয় ডোজ নেওয়া উচিত। তবে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে এই সময়সীমা সর্বোচ্চ ছয় মাস।
করোনা মহামারির শুরু পর থেকে এই প্রথম ব্রিটেনের হাসপাতালের ইনসেনটিভ কেয়ারে মৃত্যুর সাথে লড়াই করছেন ৪ হাজারের বেশি রোগীদের।
শুধু তাই নয়, শুধুমাত্র বেড সংকটের কারণে এসব মুমূর্ষু রোগীদের প্রতি দশজনের একজনকে অন্য স্থানান্তর করা হচ্ছে নিকটবর্তী অন্য হাসপাতালে।
Discussion about this post