আন্তর্জাতিক ডেস্ক
ইয়েমেনে ধ্বংসাত্মক যুদ্ধে সৌদি আরবকে সমর্থনের ইতি ঘটিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। শরণার্থীদের ক্রমবর্ধমান স্বাগত জানানোর পাশাপাশি আমেরিকান পররাষ্ট্রনীতিকে বড় ধরনের পরিবর্তনের দিকে নিয়ে যাচ্ছেন তিনি।
এ ছাড়া ‘চীন ও রাশিয়া থেকে আসা কর্তৃত্ববাদী হুমকির’ বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার অঙ্গীকার করেন তিনি।
শপথ নেওয়ার পর তাদের মেয়াদের দুই সপ্তাহ পার হয়েছে। বৃহস্পতিবার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে যান।
ট্রাম্পের উত্তেজনাপূর্ণ চার বছর পার হওয়ার পর কূটনৈতিক নীতিতে নতুন করে আলোকপাত করতে যাচ্ছেন তার উত্তরসূরি।
একটি অডিটোরিয়ামে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে অবস্থান করা কূটনীতিকদের বাইডেন বলেন, আমেরিকা ফিরে এসেছে, কূটনীতি ফিরে এসেছে।
সুসজ্জিত বেঞ্জামিন ফ্রাংকলিন কক্ষে অল্পসময়ের বক্তৃতায় তিনি আরও বলেন, ইয়েমেনে মিত্র সৌদি আরবের যুদ্ধে অস্ত্রবিক্রিসহ সব ধরনের সহায়তা বন্ধ করে দেবে যুক্তরাষ্ট্র। কারণ ইয়েমেনে সৌদি হামলায় মানবিক ও কৌশলগত বিপর্যয় তৈরি হয়েছে।
প্রবীণ কূটনীতিক টিমোথি লেন্ডারকিংকে ইয়েমেনবিষয়ক দূত মনোনয়ন করেন প্রেসিডেন্ট বাইডেন। যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটিতে একটি অস্ত্রবিরতিতে পৌঁছাতে জাতিসংঘের চেষ্টায় সহায়তা করবেন এ দূত।
এ ছাড়া হুতি বিদ্রোহী ও সরকারের মধ্যে শান্তি আলোচনা নতুন করে শুরু করতে তিনি অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে পারবেন।
ইয়েমেনের রাজধানী সানাসহ দেশটির অধিকাংশ অঞ্চল হুতি বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রণে। দেশটির জনগণের কাছে যাতে মানবিক সহায়তা পৌঁছায় তা নিশ্চিত করতে কাজ করবে যুক্তরাষ্ট্র।
এই অসহনীয় যুদ্ধে ইয়েমেনের সাধারণ ব্যাপক ভোগান্তিতে রয়েছে। দেশটির দুর্ভিক্ষের কিনারে গিয়ে ঠেকেছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। কাজেই এই যুদ্ধের অবসান ঘটাতে হবে বলে মন্তব্য করলেন বাইডেন।
Discussion about this post