আন্তর্জাতিক ডেস্ক
জর্জ ফ্লয়েড (৪৬) ছিলেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একজন কৃষ্ণাঙ্গ নাগরিক। তিনি ছিলেন দেশটির টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের হিউস্টনের বাসিন্দা।
গত বছর ২৫ মে জাল নোট ব্যবহারের অভিযোগে তাকে আটক করে মার্কিন পুলিশ। এরপর ডেরেক চৌভিন নামের এক পুলিশ কর্মকর্তা হাঁটু দিয়ে তার ঘাড় জোর করে সড়কে চেপে ধরেন। এতে ফ্লয়েডের মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় সারাবিশ্বে নিন্দার ঝড় ওঠে। ওই সময় জোরদার হয় ‘ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার’ আন্দোলন।
এ ঘটনায় পুলিশ কর্মকর্তাকে চৌভিনকে আসামি করে মামলা হয়। মামলাটি বর্তমানে চলমান রয়েছে। শুনানি শুরু হবে আগামী ২৯ মার্চ।
এদিকে, মিনেসোটা অঙ্গরাজ্যের মিনিয়াপোলিস শহরের মেয়র জ্যাকব ফেরি ক্ষতিপূরণের মাধ্যমে মামলার নিষ্পত্তির কথা জানিয়েছেন। ফ্লয়েডের মৃত্যুর ঘটনায় ক্ষতিপূরণ হিসেবে পরিবারকে ২৭ মিলিয়ন ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় ২২৮ কোটি টাকার বেশি) দিচ্ছে মিনিয়াপোলিস শহর কর্তৃপক্ষ। খবর বিবিসি।
ফ্লয়েডের পরিবারের পক্ষ থেকে আইনজীবী বেন ক্রম্প জানান, এ ধরনের মৃত্যুর জন্য এটাই সবচেয়ে বড় প্রাক-বিচার নিষ্পত্তি, যা একজন কালো মানুষের অধিকার ও পুলিশের বর্ণবাদী আচরণের বিরুদ্ধে শক্তিশালী বার্তা দিল।
ফ্লয়েডের বোন ব্রিজেট ফ্লয়েড বলেন, ন্যায়বিচার পাওয়ার এই কঠিন যাত্রায় একটা সমাধানে পৌঁছাতে পেরে আমার পরিবার সন্তুষ্ট। আমাদের হৃদয় ভাঙার পরও আমরা জেনে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করছি যে, জর্জ ফ্লয়েড বিশ্বকে দেখিয়েছে কীভাবে বেঁচে থাকতে হয়।
এ ঘটনায় পুলিশ কর্মকর্তা চৌভিনের বিরুদ্ধে কয়েকটি ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে। যদি সবগুলো অভিযোগ প্রমাণিত হয় তবে কমপক্ষে ৬৫ বছরের জেল হবে তার। তবে তিনি নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করছেন।
Discussion about this post