অনলাইন ডেস্ক
যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ফেডারেল বিচারক হিসেবে একজন মুসলিমকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। জাহিদ কোরাইশি (৪৫) নামের পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত ওই ব্যক্তি বর্তমানে নিউ জার্সিতে ম্যাজিস্ট্রেট বিচারক হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। ৩০ মার্চ মঙ্গলবার এই মনোনয়ন দেন বাইডেন।
এদিন ফেডারেল বিচারক পদে কয়েকজন কৃষ্ণাঙ্গ নারীকেও মনোনয়ন দেন বাইডেন। তাদের সবার মনোনয়ন এখন সিনেটের চূড়ান্ত অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে।
নিউ ইয়র্কে জন্মগ্রহণকারী জাহিদ কোরাইশি বেড়ে উঠেন নিউ জার্সিতে। ১৯৯৭ সালে গ্রাজুয়েশন সম্পন্ন করার পর রাটজারস ল স্কুল থেকে উচ্চতর ডিগ্রি অর্জন করেন। তার মনোনয়নের মধ্য দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রশাসনের জাতিগত বৈচিত্র্যের প্রতি সম্মান প্রদর্শনের বিষয়টি ফের সামনে এলো।
বাইডেনের পূর্বসূরি সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প শ্বেতাঙ্গ আধিপত্যবাদী প্রচারণা চালিয়েই গত বার যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষমতায় আসীন হন। ‘মেক আমেরিকা গ্রেট এগেইন’ আর ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ নামের দুই ধারণাকে উপজীব্য করেই নির্বাচনি প্রচারণা চালান তিনি। তার আমলে যুক্তরাষ্ট্রে নব্য নাৎসিবাদের ব্যাপক উত্থানেরও অভিযোগ রয়েছে। তবে হোয়াইট হাউসে পালাবদলের পর শ্বেতাঙ্গ আধিপত্যবাদী নীতিরও পরিবর্তন ঘটে। বহুত্ববাদের প্রতি সম্মান প্রদর্শনের কথা জানায় বাইডেন শিবির।
নিজের মেয়াদে বরাবরই রক্ষণশীল শেতাঙ্গ পুরুষদের ফেডারেল আদালতগুলোতে নিয়োগের উদ্যোগ নিয়েছিলেন ট্রাম্প। তবে বাইডেন জামানায় এ পর্যন্ত আদালত অঙ্গনে মনোনয়ন পাওয়া ১১ জনের মধ্যে মাত্র দুই জন পুরুষ। ওই ১১ জনের মধ্যে নারী, কৃষ্ণাঙ্গ, মুসলিম, এশিয়ান আমেরিকান থাকলেও কোনও শ্বেতাঙ্গ নেই।
যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধান অনুযায়ী, সুপ্রিম ও ফেডারেল আদালতে প্রেসিডেন্টের মনোনীত বিচারকদের নিয়োগের বিষয়টির চূড়ান্ত অনুমোদন দেয় দেশটির সিনেট। সিনেটের অনুমোদন লাভের পর তারা আজীবন এই দায়িত্ব পালন করে যেতে পারবেন। সূত্র: আনাদোলু এজেন্সি।
Discussion about this post