আন্তর্জাতিক ডেস্ক
মৌসুমি বৃষ্টিপাতের ফলে সৃষ্ট বন্যা ও ভূমিধসে রোববার পর্যন্ত ইন্দোনেশিয়া এবং প্রতিবেশী দেশ পূর্ব তিমুরে কমপক্ষে ৭৬ জনের প্রাণহানি হয়েছে বলে দুই দেশের সরকারি হিসাবের বরাতে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বিবিসি।
দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার প্রতিবেশী এই দুই দেশ মৌসুমি বৃষ্টির কারণে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছে। প্রাণহানি ছাড়াও বৃষ্টির কারণে বাঁধ উপচে আশেপাশের এলাকা প্লাবিত হওয়ায় পানির নিচে তলিয়ে গেছে হাজার হাজার ঘরবাড়ি।
ইন্দোনেশিয়ার একেবারে পূর্বাঞ্চলের ফ্লোরস দ্বীপ থেকে পূর্ব তিমুর পর্যস্ত মারাত্মকভাবে বিপর্যস্ত হয়েছে। ইন্দোনেশিয়ায় এখনো ৪২ জন মানুষের কোনো খোঁজ মিলছে না। মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে শঙ্কা কর্মকর্তাদের।
দেশটির জাতীয় দুর্যোগ প্রশমন সংস্থার মুখপাত্র রাদিত্য জাতি সম্প্রচারমাধ্যম মেট্রো টিভিকে বলেছেন, ‘৫৫ জন মারা গেছেন কিন্তু এই সংখ্যাটা দ্রুত বাড়ছে এবং অবশ্যই তা আরও বাড়বে। ৪১ জনের খোঁজ মিলছে না।’
ইন্দোনেশিয়ার সবশেষ পরিস্থিতি নিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘কাদা এবং চরম আবহাওয়া একটি গুরুতর চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে এবং ধ্বংসাবশেষের কারণে সৃষ্ট স্তূপ উদ্ধারকারী দলের অনুসন্ধানকাজকে বাঁধাগ্রস্ত করেছে।’
ইস্ট ফ্লোরসের দুর্যোগ প্রশমন সংস্থার প্রধান হাদা বেথান বিবিসিকে বলেছেন, ‘ধ্বংসস্তুপের নিচে অনেক মানুষ চাপা পড়েছে বলে আমরা শঙ্কা করছি এবং ঠিক কতজন নিখোঁজ রয়েছে তা আমাদের এখনো নিশ্চিত নয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘উদ্ধারকর্মীরা চারদিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে গেছে। প্রতিটি সাব জেলায় এই সংখ্যাটা শতাধিক। কিন্তু অনেকেই এখানো বাড়িতে রয়েছেন। তাদের সবার খাবার, ওষুধ এবং কম্বল-বালিশ প্রয়োজন।’
এদিকে ইন্দোনেশিয়ার প্রতিবেশী দেশ পূর্ব তিমুরেও বৃষ্টির কারণে সৃষ্ট বন্যায় কমপক্ষে ২১ জনের প্রাণহানির খবর পাওয়া যাচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্ত বেশিরভাগ মানুষ দেশটির রাজধানী শহর দিলির বাসিন্দা বলে জানা যাচ্ছে।
ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট জোকো উইদোদো প্রাণহানিতে শোক প্রকাশ করে চরম এই দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া থাকাকালীন সরকারি কর্মকর্তাদের প্রদত্ত নির্দেশনা ও পরামর্শ মেনে চলতে সব মানুষকে আহ্বান জানিয়েছেন।
বর্ষাকালে ইন্দোনেশিয়ার দ্বীপগুলোতে বন্যা ও ভূমিধসের ঘটনা হামেশাই ঘটে থাকে। গত জানুয়ারিতে বন্যায় ইন্দোনেশিয়ার জাভা প্রদেশের সুমেদাং শহরে ৪০ জনের বেশি মানুষের প্রাণহানি হয়েছিল।
Discussion about this post