আন্তর্জাতিক ডেস্ক
ভারতে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। গত কয়েকদিনে আক্রান্তের সংখ্যা গড়ে লাখ ছাড়িয়েছে। এই সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়তে রোববার (১১ এপ্রিল) থেকে দেশটিতে শুরু হচ্ছে চার দিনের ‘টিকা উৎসব’। সর্বোচ্চ সংখ্যক উপযুক্ত ব্যক্তিকে টিকা দেয়াই হল এই অভিযানের লক্ষ্য। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নির্দেশে এই বিশেষ টিকাদান অভিযান শুরু হবে। টিকা উৎসব চলবে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত।
ভারতের সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, ১০ কোটি টিকা দেয়া প্রথম দেশ হলো ভারত। ৮৫ দিনের মধ্যে এই গণ্ডি পার করেছে ভারত। যার ফলে টিকা দেয়ায় যুক্তরাষ্ট্র, চীনের মতো দেশকে পেছনে ফেলেছে ভারত। এই মাইলফলক স্পর্শ করতে যুক্তরাষ্ট্রের লাগে ৮৯ দিন, আর চীনের লেগে যায় ১০২ দিন।
জানা গেছে, বিহার, গোয়া, মধ্যপ্রদেশ এবং উত্তরপ্রদেশের মতো বেশ কয়েকটি রাজ্য ইতোমধ্যে যোগ্য ব্যক্তিদের টিকা উৎসবে অংশ নেয়ার জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে। এই উৎসব টানা চার দিন চলবে।
যদিও কিছু রাজ্য ভ্যাকসিনের অভাব দেখা দিয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে। তবে কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়েছে, সব রাজ্যে পর্যাপ্ত পরিমাণে ডোজ সরবরাহ করা হয়েছে। বেশিরভাগ রাজ্য উপযুক্ত ব্যক্তিদের টিকা দিতে সক্ষম হচ্ছে।
অপরদিকে কেন্দ্রীয় সরকারের অনুমতি নিয়ে আজ থেকে সরকারি বেসরকারি সব অফিসের কর্মীদের টিকাকরণ শুরু হবে। তবে কেবল ৪৫ বছর বা তার বেশি বয়সের কর্মচারীরা টিকা দিতে পারবেন এবং যোগ্য পরিবারের সদস্যরাসহ বহিরাগতরা কর্মস্থলে টিকা নিতে পারবেন না। সরকার এই টিকা উৎসবের জন্য রাজ্য/কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলোকে ইতোমধ্যেই নির্দেশনা পাঠিয়েছে।
উল্লেখ্য, ভারতজুড়ে করোনা পরিস্থিতি দিন দিন চিন্তার কারণ হয়ে উঠছে। গত বৃহস্পতিবার সব রাজ্যের মুখমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, ‘যাতে টিকার সর্বাধিক ও যথাযথ ব্যবহার সম্ভব হয়, সেজন্যে আগামী ১১ থেকে ১৪ এপ্রিল প্রতিটি রাজ্যে টিকা উৎসব পালন করা উচিত।’
Discussion about this post