আন্তর্জাতিক ডেস্ক
করোনায় বিপর্যস্ত ভারতে যুক্তরাজ্য আরও এক হাজার ভেন্টিলেটর পাঠাবে। এছাড়া দেশটিতে বসবাসকারী ভারতীয় চিকিৎসকদের একটি সংগঠন টেলিমেডিসিনের মাধ্যমে ভারতকে সহযোগিতার প্রস্তাবও দিয়েছে।
যুক্তরাজ্য ইতোমধ্যে ৪৯৫টি অক্সিজেন কনসেনট্রেটর (বাতাস থেকে অক্সিজেন সংগ্রহ করার যন্ত্র) ও দুশো ভেন্টিলেটর ভারতে পাঠিয়েছে। তিনটি বড় উৎপাদন ইউনিটও পাঠানো হচ্ছে যেগুলো অক্সিজেন কারখানা হিসেবে ব্যবহৃত হবে।
জি-৭ বৈঠক উপলক্ষে লন্ডনে সোমবার ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুব্রামানিয়াম জয়শঙ্করের সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছেন রাব।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গেও ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের ভার্চুয়াল বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। কয়েকদিন আগে করোনা সংকটের কারণে জনসন দিল্লি সফর বাতিল করেন।
রাব বলেন, ‘ভারতের প্রয়োজনের সময়’ যুক্তরাজ্য সবকিছু করবে। যদিও ব্রিটিশ সরকার জানিয়েছে, এ মুহূর্তে পাঠানোর মতো অতিরিক্ত ভ্যাকসিন তাদের কাছে নেই।
ব্রিটিশ অ্যাসোসিয়েশোন অব ফিজিশিয়ান্স অব ইন্ডিয়ান অরিজিন (ব্যাপিও) নামক একটি সংগঠনের সদস্যরা টেলিমেডিসিনের মাধ্যমে ভারতের কম-গুরুতর করোনা রোগীদের পরামর্শ দেয়ার একটি উদ্যোগ নিয়েছেন। ভারতে করোনা চিকিৎসায় হিমশিম খাওয়া চিকিৎসকদের ওপর চাপ কমাতেই এই উদ্যোগ নিয়েছেন ব্যাপিওর সদস্যরা।
ব্যাপিওর সভাপতি পরাগ সিংঘাল বলেন, ‘আমরা অর্থ সংগ্রহের মাধ্যমে অক্সিজেন কনসেনট্রেটর পাঠাচ্ছি যেন আইসিইউ বেডের সক্ষমতা বাড়ানো যায়।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা ভারতে আমাদের ক্লান্ত সহকর্মীদের সহযোগিতা করার চেষ্টাও করছি – চিকিৎসকরা অত্যধিক পরিশ্রম করছেন, তারা অনেক চেষ্টা করছেন।’
তিনি বলেন, ব্যাপিওর চিকিৎসকরা ভারতের হাসপাতালে করা করোনা পরীক্ষার ফলাফল বিশ্লেষণ করে ফোন ও অনলাইনে পরামর্শ দেবে।
যুক্তরাজ্যের ২৫০ জন স্বেচ্ছাসেবী চিকিৎসক টেলিমেডিসিন দেয়ার উদ্যোগে স্বাক্ষর করেছেন। তারা এক হাজার স্বেচ্ছাসেবী জোগাড়ের চেষ্টা করছেন। ভারতের বিশেষ করে প্রত্যন্ত অঞ্চলের হাসপাতাল ও ছোট ক্লিনিকগুলোতে তারা এ সেবা দেবেন।
Discussion about this post