গত সপ্তাহে শুরু হওয়া গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনে ২১২ জনের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এর মধ্যে ৬১ জন শিশুও রয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছে আরও হাজার হাজার ফিলিস্তিনি জনগণ।ওআইসি’র জরুরি বৈঠকে সৌদি আরব, মালয়েশিয়া ও পাকিস্তানের মতো সদস্য দেশগুলো পূর্ব জেরুজালেমে ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েলি আগ্রাসনের নিন্দা পুনর্ব্যক্ত করেছেন। আর বলেছেন ইসরায়েল যুদ্ধাপরাধ করছে। তবে তুরস্ক শুধু নিন্দা না জানিয়ে বাহিনী গঠনের প্রস্তাব সামনে এনেছে।তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত কাভুসোগলু প্রতিনিধিদের বলেন, ‘আগ্রহী দেশগুলোর সামরিক এবং আর্থিক অনুদানের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক বাহিনী গঠন করে ফিলিস্তিনিদের শারিরীক সুরক্ষা নিশ্চিত করা উচিত।’ তিনি ওআইসি এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে ন্যায়বিচারও মানবতার পক্ষে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ‘অন্য কোনও বিবেচনা থাকা উচিত নয়। এখন আমাদের একতা এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণের কার্যকারিতা প্রদর্শনের সময়।’ তিনি বলেন মুসলিম বিশ্ব প্রত্যাশা করছে ওআইসি নেতৃত্ব এবং সাহস প্রদর্শন করবে। তিনি আরও বলেন, ‘প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে প্রস্তুত রয়েছে তুরস্ক।’
এই ধরনের আন্তর্জাতিক কোনও বাহিনী গঠনের বিস্তারিত নিয়ে ওআইসি’র সভায় কোনও আলোচনা হয়নি। তবে তুর্কি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওআইসিকে আশ্বস্ত করেছেন যে, ২০১৮ সালের জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের একটি প্রস্তাবের আওতাতেই আন্তর্জাতিক আইনে স্বীকৃত ভাবেই এই ধরনের বাহিনী গঠন সম্ভব।
তুর্কি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আগে একই ধরনের প্রস্তাব সামনে আনেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেব এরদোয়ান। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে এক আলাপচারিতায় এই প্রস্তাব দেন তিনি।
Discussion about this post