আন্তর্জাতিক ডেস্ক
পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার অনিশ্চয়তা ও ভবিষ্যতের কথা বিবেচনা করে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে । মহামারীকালে শুধুমাত্র আবশ্যিক বিষয়ে তিন ঘণ্টার বদলে দেড় ঘণ্টা পরীক্ষা দেবে শিক্ষার্থীরা।
আজ বৃহস্পতিবার (২৭ মে) পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সচিবালয় ও প্রধান প্রশাসনিক দপ্তর নবান্নে এ কথা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম আনন্দবাজারের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, জুলাইয়ের শেষ সপ্তাহে হবে এ বছরের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা। অগস্টের দ্বিতীয় সপ্তাহে হবে মাধ্যমিক পরীক্ষা। তিন ঘণ্টার বদলে পরীক্ষা হবে দেড় ঘণ্টার। মহামারী পরিস্থিতিতে ছাত্র-ছাত্রীদের অনিশ্চয়তার বিষয়টি উল্লেখ করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এ কথা জানিয়েছেন।
মমতা বলেন, ‘এ বছর মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী রয়েছে ১২ লক্ষের কিছু বেশি। মাধ্যমিকে আবশ্যিক বিষয় আছে ৭টি। এই আবশ্যিক বিষয়গুলির পরীক্ষায় নেওয়া হবে ২০২১ সালের মাধ্যমিক পরীক্ষায়। ঐচ্ছিক বিষয়ের পরীক্ষা এ বছর নেওয়া হবে না। ওই বিষয়গুলির নম্বর নিজ নিজ স্কুল দেবে।’
এছাড়া মাধ্যমিক পরীক্ষা নিজের স্কুলেই সিট পড়বে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী বলেন,‘বাড়ির কাছে নিজের স্কুলে পরীক্ষার আসন পড়লে যানবাহনে চড়ে যেতে হবে না ছাত্র-ছাত্রীদের। এতে সংক্রমণ ঝুঁকি হ্রাস পাবে’
মাধ্যমিকের আগে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা নেওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের বিভিন্ন কলেজে ভর্তির ব্যাপার থাকে। তাই ওই পরীক্ষা আগে নেব। মাধ্যমিক তো আমাদের ঘরের ব্যাপার। তাই ওটা পরে নেওয়টার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’
তিন ঘণ্টার বদলে পরীক্ষা দেড় ঘণ্টার নেওয়ায় উত্তরও অর্ধেক নম্বরের দিতে হবে বলেও জানিয়েছেন মমতা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একইসঙ্গে উচ্চমাধ্যমিকের ক্ষেত্রেও বিভিন্ন বিষয়ের যত কম পরীক্ষা নেওয়া যায় সে ব্যাপারে দেখার জন্য পর্ষদকে তিনি অনুরোধ করেছেন বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
Discussion about this post