আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আজ ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুকে সরাতে দেশটির পার্লামেন্টে ভোট অনুষ্ঠিত হবে। এই ভোটের মাধ্যমে বিরোধী জোট বিজয়ী হলে নেতানিয়াহুর দীর্ঘ এক যুগের শাসনের পতন ঘটতে যাচ্ছে। এদিকে একদিকে ক্ষমতা হারানোর চাপ অন্যদিকে কারাদণ্ডের ভয়ে আছেন ইসরায়েলের সবচেয়ে বেশি সময় ক্ষমতায় থাকা এই প্রধানমন্ত্রী।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ক্ষমতা হারানোর পর দুর্নীতির অভিযোগে নেতানিয়াহুর ১০ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে। ইসরাইলের ডেমোক্রেসি রিসার্চ সেন্টারের সংবিধান বিষয়ক আইনজীবী আমির ফুক্স একথা জানিয়েছেন।
ফুক্স আরও বলেন, গত দুই বছর ধরে এই প্রশ্ন সামনে ছিল যে, নেতানিয়াহু নিজেকে বিচারের ঊর্ধ্বে রাখার জন্য কি সংবিধান সংশোধন করবেন? কিন্তু এতদিন তিনি তা করেননি এবং শিগগিরই ক্ষমতা চলে যাওয়ার পর তিনি আইনি দায়মুক্তি হারাবেন। তার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ রয়েছে তাতে তার সর্বোচ্চ ১০ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে।
ইসরায়েলের সংসদ স্পিকার ইয়েরিভ লেভিন গত মঙ্গলবার এক টুইটে বলেছেন, নানা জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে নেতানিয়াহুর ১২ বছরের শাসনের সমাপ্তি ঘটতে যাচ্ছে। ওই টুইট বার্তায় তিনি বলেন, অবশেষে এটা হচ্ছে। ইসরায়েলের নাগরিকদের কল্যাণে ঐক্যের সরকার শপথ নিতে যাচ্ছে।
চুক্তি অনুযায়ী, এই জোটের নেতৃত্বে থাকবে ডানপন্থী ইয়ামিনা পার্টি। সরকার গঠনের পর এই দলের প্রধান নাফতালি বেনেট প্রথম দুই বছর প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করবেন। তিনি ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দায়িত্ব পালনের পর ইয়ার লাপিদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করবেন।
১২০ আসনের নেসেটে সরকার গঠন করতে অন্তত ৬১ আসনের দরকার হয়। কিন্তু গত নির্বাচনেও এককভাবে সেই সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি কোনো দল। ফলে এবারো জোট সরকারের দিকেই ঝুঁকতে হচ্ছে ইসরায়েলিদের।
Discussion about this post