আন্তর্জাতিক ডেস্ক
শিল্পখাতসহ জ্বালানিখাতের ওপর আরোপিত মার্কিন নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে একটি বিস্তৃত চুক্তিতে পৌঁছেছে ইরান।
চুক্তিতে পৌঁছালেও ২০১৫ সালে পাঁচ বিশ্ব শক্তির সঙ্গে ইরানের স্বাক্ষরিত পারমাণবিক চুক্তি বাঁচানোর জন্য ‘খুবই অল্প সময়’ আছে বলে সতর্ক করে দিয়েছে দেশটি।
ইরানের তেল রফতানির প্রধান অন্তরায় ও দেশটির অর্থনীতি তছনছ করে দেওয়া মার্কিন নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে চুক্তি হলেও এ ব্যাপারে বিস্তারিত কোনও তথ্য দেয়নি তেহরান। সোমবার ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সাঈদ খতিবজাদেহ বলেছেন, বেশ কিছু বিষয়ে বোঝাপড়ায় পৌঁছাতে ব্যর্থ হওয়ায় ঐতিহাসিক এই চুক্তি বিলম্বিত হয়েছে।
অপরিশোধিত জ্বালানির বিক্রি পুনরায় কখন শুরু হবে এবং ওয়াশিংটন কত দ্রুত উৎপাদন বাড়ানোর অনুমতি দেবে; সে বিষয়ে ভিয়েনায় যে আলোচনা চলছে তা নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে বিশ্বের শীর্ষ জ্বালানি রফতানিকারক দেশগুলোর সংগঠন ওপেক।
তিন বছর আগে ২০১৮ সালে আন্তর্জাতিক পারমাণবিক চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহার করে নেন তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প; এখন সেই চুক্তিতে বাঁচানোর চেষ্টা করছেন বিশ্ব নেতারা। চুক্তি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর ইরানের বিরুদ্ধে নতুন করে অর্থনৈতিক ও অন্যান্য নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে ওয়াশিংটন।
শনিবার ভিয়েনায় ইরানের প্রতিনিধি দলের প্রধান আব্বাস আরাঘচি বলেছিলেন, আগামী শুক্রবার ইরানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে একটি চুক্তিতে পৌঁছানোর সম্ভাবনা রয়েছে।
২০১৫ সালে মূল চুক্তির বিষয়ে আলোচনা করেছিলেন ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি— দুই মেয়াদে দায়িত্বপালন শেষে আগামী আগস্টে ক্ষমতা থেকে বিদায় নেবেন তিনি। এবারের নির্বাচনে যুক্তরাষ্ট্রবিরোধী হিসেবে পরিচিত এব্রাহীম রাইসি প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানির স্থলাভিষিক্ত হতে পারেন বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে।
সূত্র: রয়টার্স।
Discussion about this post