আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আবারও মিয়ানমারের জান্তা সরকারের বিরুদ্ধে নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) এবং যুক্তরাজ্য। গত ১ ফেব্রুয়ারি থেকে এ নিয়ে তিনবার ইইউর নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়লো দেশটি। সোমবার মিয়ানমারের ৮ ব্যক্তি, তিন অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠান ও দেশটির যুদ্ধ ভেটেরান্স অর্গানাইজেশনের ওপর এ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়।
এসব ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মিয়ানমারের গণতন্ত্রকামীদের ওপর দমন-নিপীড়ন চালানোর অভিযোগ আনা হয়েছে।
বেশ কয়েকজন মন্ত্রী, উপমন্ত্রী এবং মিয়ানমারের অ্যাটর্নি জেনারেল এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়েছেন। এদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে মিয়ানমারে গণতন্ত্র ও আইনের শাসন ক্ষুণ্ন করার অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া সরকার ও সশস্ত্র বাহিনী নিয়ন্ত্রণাধীন অন্য চারটি প্রতিষ্ঠানের ওপরও নিষেধাজ্ঞা আনা হয়েছে। যারা জান্তা সরকারকে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সাহায্য করছে।
এদিকে ষষ্ঠ দফায় মিয়ানমারের ওপর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপের ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাজ্য। সোমবার এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানান যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোমিনিক রাব। তিনি জানান, নতুন এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হচ্ছে মিয়ানমারের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন দুই প্রতিষ্ঠান টিম্বার এন্টারপ্রাইজ ও মিয়ানমার পার্ল এন্টারপ্রাইজের ওপর। যুক্তরাজ্যে থাকা প্রতিষ্ঠান দু’টির সব সম্পদও বাজেয়াপ্ত করা হবে। প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে মিয়ানমারের সামরিক শাসক বহু রাজস্ব আয় করে থাকে।
এর আগেও ১ ফেব্রুয়ারির অভ্যুত্থানে যুক্ত মিয়ানমারের সেনা কর্মকর্তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল যুক্তরাজ্য। এছাড়া জানানো হয়, দেশটির সেনাবাহিনীর কোন প্রতিষ্ঠানের সাথে আর কোনও ব্যবসা করবে না যুক্তরাজ্য।
অভ্যুত্থানের মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখলের পর থেকেই মানবাধিকার সংস্থা ও পশ্চিমা দেশগুলোর সমালোচনার মুখে রয়েছে মিয়ানমার জান্তা সরকার। ১ ফেব্রুয়ারির এই অভ্যুত্থানের পর থেকে দেশটিতে গণতন্ত্রকামীদের ওপর নির্যাতন চালিয়ে আসছে সেনা সরকার। এতে এখন পর্যন্ত নিহত হয়েছেন অন্তত ৮৭১ জন। আটক রাখা হয়েছে ছয় হাজারের বেশি আন্দোলনকারীকে। সূত্র: ভয়েস অব আমেরিকা
Discussion about this post