আন্তর্জাতিক ডেস্ক
মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন অঞ্চলে বিশেষ করে ইরাকে ইরানের সঙ্গে উত্তেজনা বাড়ানোর কোনা অভিপ্রায় নেই বলে জানিয়েছেন ইরাকের রাজধানী বাগদাদে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত ম্যাথিউ টুয়েলার।
তিনি ইরাকের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা কাসেম আল রাজির সঙ্গে এক সাক্ষাতে এমন মন্তব্য করেছেন বলে ইরাকি বার্তা সংস্থা নাস নিউজের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
তাদের ওই বৈঠকে মার্কিন শীর্ষ সেনা কর্মকর্তা জেনারেল কালফের্ট উপস্থিত ছিলেন। ইরাকে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেন, ইরানের সঙ্গে স্বাভাবিক কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার যেকোনো প্রচেষ্টাকে স্বাগত জানায় তার দেশ। এছাড়া, ইরানের সঙ্গে উত্তেজনা বাড়ানোর কোনো ইচ্ছা ওয়াশিংটনের নেই।
ম্যাথিউ টুয়েলার এর আগে গত মঙ্গলবার আল-ইরাকিয়া টিভি চ্যানেলকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, আমরা চাই ইরানের সঙ্গে ইরাকের সম্পর্ক স্বাভাবিক হোক এবং আমরা এই দুই দেশের মধ্যে কোনো জটিলতা সৃষ্টি করতে চাই না।
মার্কিন রাষ্ট্রদূত এমন সময় এসব বক্তব্য দিলেন যখন গত সোমবার ইরাকের প্রধানমন্ত্রী মুস্তফা আল কাধিমি ওয়াশিংটনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। ওই সাক্ষাতে ইরাক থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারসহ দ্বিপক্ষীয় স্বার্থ সংশ্লিষ্ট নানা বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
ইরান দীর্ঘদিন ধরে বলে আসছে, ইরাকসহ মধ্যপ্রাচ্যের নিরাপত্তা রক্ষা করার জন্য ওই অঞ্চলে মার্কিন সামরিক উপস্থিতির কোনো প্রয়োজন নেই। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোই এ অঞ্চলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারবে। পারস্য উপসাগরীয় অঞ্চল থেকে মার্কিন সেনাসহ সকল বিদেশি সেনা প্রত্যাহার করারও আহ্বান জানিয়েছে তেহরান।
বাইডেন ক্ষমতা গ্রহণের পর প্রথমবারের মতো ওয়াশিংটনে সফর করলেন তিনি। তার এই সফরের প্রধান গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ছিল ইরাক থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারে যুক্তরাষ্ট্রকে চাপ দেয়া।
এই কাজে তিনি বেশ সফল হয়েছেন বলা চলে। কারণ তার সঙ্গে বৈঠকের পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, চলতি বছরের শেষ নাগাদ ইরাকে মার্কিন বাহিনী তাদের যুদ্ধের মিশন শেষ করবে। কাধিমি এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের মধ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে এ বিষয়ে একটি চুক্তিও স্বাক্ষর হয়েছে।
Discussion about this post