আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আগামীকাল শনিবার ২০ বছর পূর্ণ হতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের নাইন ইলেভেন হামলার । ২০ বছর পার হলেও এখনও সেদিনের ভয়াবহতা ভুলতে পারেনি মানুষ।
আজও শারীরিক ও মানসিক ক্ষত কাটিয়ে উঠতে পারেননি তারা। তবে নতুন প্রজন্মের অনেকই জানেন না কি হয়েছিল সেদিন। এবার নাইন ইলেভেন নিয়ে একটি প্রতিবেদন।
নাইন ইলেভেনকে বলা হয় শতাব্দীর সবচেয়ে ভয়াবহ হামলা। বিশ বছর আগে সেপ্টেম্বরের ১১ তারিখে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের টুইন টাওয়ারে ভয়াবহ সেই হামলার দৃশ্য চমকে দিয়েছিলো গোটা বিশ্বের মানুষকে। বলা হয়, এই হামলা বিশ্বের ভূরাজনৈতিক পেক্ষাপটকে একেবারেই পরির্বতন করে দেয়। তবে নতুন প্রজন্মের অনেকের মাঝেই প্রশ্ন জাগে কি হয়েছিলো সেদিন।
২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর জঙ্গি সংগঠন আল কায়েদা ছোট ছোট দলে যুক্তরাষ্ট্রের চারটি বিমান একেসাথে ছিনতাই করে। এগুলোর মধ্যে দুটি বিমান বিধ্বস্ত করা হয় নিউইর্য়কের ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের টুইন টাওয়ার ভবনে। তৃতীয় বিমানটি পেন্টাগনের সদর দপ্তরে আঘাত হানে। আর চতুর্থ বিমানটি আছড়ে পড়ে পেনসিলভানিয়ার একটি মাঠে। এ হামলায় প্রায় তিন হাজার মানুষ নিহত হন। বলা হয়, চরমপন্থি সংগঠন আল কায়েদা নেতা ওসামা বিন লাদেনের নেতৃত্বে আফগানিস্তান থেকে এই হামলার পরিকল্পনা করা হয়েছিলো।
তবে বিশ বছর পার হয়ে গেলেও সেদিনের ভয়াবহতা ভুলতে পারেনি মানুষ। এত বছর পরও হামলার কারণে নানা শারীরিক ও মানসিক সমস্যায় জর্জরিত অনেকে। এখন তাদের বর্ণনায় ফুটে ওঠে সেই দিনের ভয়াবহতা। সম্প্রতি বার্তা সংস্থা এএফপির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, নাইন ইলেভেন হামলায় যত মানুষ মারা গেছে, তার চেয়েও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে হামলাসংশ্লিষ্ট অসুস্থতায়। এতে এখন পর্যন্ত প্রায় চার হাজার মানুষ মারা গেছেন।
তবে বিশ বছর পার হয়ে গেলেও সেদিনের ভয়াবহতা ভুলতে পারেনি মানুষ। এত বছর পরও হামলার কারণে নানা শারীরিক ও মানসিক সমস্যায় জর্জরিত অনেকে। এখন তাদের বর্ণনায় ফুটে ওঠে সেই দিনের ভয়াবহতা। সম্প্রতি বার্তা সংস্থা এএফপির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, নাইন ইলেভেন হামলায় যত মানুষ মারা গেছে, তার চেয়েও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে হামলাসংশ্লিষ্ট অসুস্থতায়। এতে এখন পর্যন্ত প্রায় চার হাজার মানুষ মারা গেছেন।
যারা মারা যাচ্ছেন তাদের ৫০ শতাংশেরই মৃত্যুর কারণ ক্যানসার।
একজন বলেন, আমি ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের দশ তলায় ক্লাস করছিলাম। এখনও ভাবলে আমার গা শিউরে ওঠে। হঠাৎই বিকট শব্দ হয়ে চারপাশ কেঁপে ওঠে। মূর্হূতেই ভয়াবহ আগুন ছড়িয়ে পড়ে। আশপাশে ধুলায় ডেকে যায়। ভাবতেই পারেনি বেঁচে ফিরে আসবো কিনা। ওই দিনের পর থেকে আমার হাঁপানি সমস্যা শুরু হয়।
আরেকজন চিকিৎসক বলেন, নাইন ইলেভেনের প্রভাবে এখনও আমাদের কাছে নতুন রোগী আসে। বলে বোঝানো সম্ভব না এখনও কতো মানুষ এর জন্য শারীরিক ও মানসিকভাবে অসুস্থ।
২০১১ সালে সন্ত্রাসী হামলায় হতাহতদের সহায়তায় একটি তহবিল খোলা হয়। সেখানে ৬৭ হাজার মানুষ সাহায্যের আবদেন করেন।
Discussion about this post