আন্তর্জাতিক ডেস্ক
শুক্রবারই (১৭ সেপ্টেম্বর) ঘোষণা আসার পর শনিবার হলো তার বাস্তবায়ন। পারমাণবিক শক্তিচালিত সাবমেরিন চুক্তির বিতর্কের জেরে যুক্তরাষ্ট্র ও অস্ট্রেলিয়া থেকে রাষ্ট্রদূত প্রত্যাহার করে নিয়েছে ফ্রান্স।
একই সাথে ওয়াশিংটন এবং বাল্টিমোরের আসন্ন আমেরিকা-ফ্রান্স মৈত্রী কর্মসূচিতেও অংশগ্রহণ না করার কথা জানিয়েছেন ফ্রান্সের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জঁ-ইভেস লে ড্রিয়ান। খবর নিউ ইয়র্ক টাইমসের।
মূলত, ফ্রান্সের কাছ থেকে সাবমেরিন কেনার কথা ছিল অস্ট্রেলিয়ার। এ নিয়ে বিশাল অঙ্কের চুক্তিও হয় দেশ দু’টির মধ্যে। তবে মাত্র এক সপ্তাহের মাথায় সে চুক্তি থেকে বেরিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে আধুনিক পারমাণবিক শক্তিচালিত সাবমেরিন কেনার ঘোষণা দেয় অস্ট্রেলিয়া।
এছাড়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চীনের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য এবং অস্ট্রেলিয়ার ত্রিদেশীয় জোট ‘অকাস’ নিয়েও ব্যাপক অসন্তুষ্ট ফ্রান্স। তাই সব মিলিয়েই রাষ্ট্রদূত প্রত্যাহারের এ সিদ্ধান্ত নেয়া হলো।
এর আগে, সাবমেরিন চুক্তি থেকে অস্ট্রেলিয়ার নাটকীয়ভাবে বেরিয়ে যাওয়াকে বিশ্বাসঘাতকতা বলে আখ্যা দিয়েছিল ফ্রান্স। বলা হয়েছিল, আমাদের পেছন থেকে ছুরি মারা হয়েছে। মিত্র দেশের মতো আচরণ নয় এটি।
পাশাপাশি বাইডেনের এ সিদ্ধান্তকে ট্রাম্পের সাথেও তুলনা করেন ফ্রান্সের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জঁ-ইভেস লে ড্রিয়ান। বলেন, সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মতো আচরণ করছেন বাইডেন। ট্রাম্পই এই ধরনের সিদ্ধান্ত নিতেন।
Discussion about this post