আন্তর্জাতিক ডেস্ক
অবশেষে সীমান্ত খুলে দিচ্ছে ভারত। প্রায় দেড় বছর বন্ধ রাখার পর পর্যটকদের জন্য ভিসা উন্মুক্ত করতে যাচ্ছে দেশটি।
বিশ্বব্যাপী করোনা মহামারী মোকাবেলায় অন্যান্য দেশের মতো ভিনদেশী নাগরিকদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেয় ভারত। সম্প্রতি সংক্রমণ কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসায় শিগগিরই বিদেশিদের জন্য সীমান্ত খুলে দেওয়া হতে পারে বলে জানিয়েছেন দেশটির কর্মকর্তারা।
মহামারিতে ক্ষতিগ্রস্ত পর্যটন ও বিমান পরিবহন খাতকে পুনরায় উজ্জীবিত করার প্রয়াসে প্রথম পাঁচ লাখ বিদেশি পর্যটককে বিনামূল্যে ভিসা প্রদানের কথাও জানিয়েছেন দেশটির সরকারি সংবাদসংস্থা প্রেস ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়া (পিটিআই)।
এছাড়া বিদেশি পর্যটকদের জন্য সীমান্ত খোলার প্রত্যাশিত সময় এবং প্রক্রিয়া সম্পর্কে অংশীদারদের সাথে আলোচনা করছেন দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের শীর্ষ কর্মকর্তারা। বিদেশি পর্যটকদের ভারত ভ্রমণের অনুমতির ব্যাপারে আগামী ১০ দিনের মধ্যে ঘোষণা আসতে পারে।
দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ উল্লেখযোগ্য পরিমাণে কমে আসায় সীমান্ত খুলে দেওয়ার বিষয়ে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে।
প্রথম দফায় ইস্যু করা প্রায় পাঁচ লাখ ভিসার মেয়াদ আগামী বছরের এক মার্চ পর্যন্ত করা হতে পারে। এতে ভারতের সরকারের মোট ১০০ কোটি রুপি ব্যয় হতে পারে বলে জানান এক কর্মকর্তা।
তিনি আরও জানান, বিনামূল্যে ভিসা দেওয়ার এই পদক্ষেপ স্বল্পসময়ের জন্য ভারত সফরে আসা পর্যটকদের উৎসাহিত করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
করোনাভাইরাস মহামারির কারণে গত বছরের মার্চ থেকে ই-ট্যুরিস্ট ভিসা স্থগিত রেখেছে ভারত। তবে বিদেশি পর্যটকদের কিছু শর্তে ভারত ভ্রমণের অনুমতি দেওয়া যেতে পারে কিনা সেটি নিয়েও এখনও চিন্তা-ভাবনা চলছে বলে দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। এক্ষেত্রে শুধুমাত্র টিকা নেওয়া পর্যটকদের অনুমতি এবং সংক্রমণের উদ্বেগজনক পরিস্থিতিতে থাকা দেশের পর্যটকদের ভারত ভ্রমণের সুযোগ না দেওয়ার সিদ্ধান্তও আসতে পারে।
ভারতের এক মাস মেয়াদের ই-ট্যুরিস্ট ভিসার খরচ প্রায় ২৫ মার্কিন ডলার (বাংলাদেশি প্রায় ২ হাজার ১৩৩ টাকা)। এছাড়া এক বছর মেয়াদের মাল্টিপল এন্ট্রি ই-ট্যুরিস্ট ভিসার খরচ প্রায় ৪০ ডলার (বাংলাদেশি প্রায় ৩ হাজার ৪১৩ টাকা)।
Discussion about this post