আন্তর্জাতিক ডেস্ক
‘ইসলামি পরিবেশ তৈরি হওয়ার আগ পর্যন্ত’ কাবুল বিশ্ববিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষ কিংবা কর্মস্থলে নারীরা আর যেতে পারছেন না। সোমবার (২৬ সেপ্টেম্বর) তালেবানের নিয়োগ দেওয়া নতুন উপাচার্য এমন নির্দেশনা দিয়েছেন।
আফগানিস্তানে ক্ষমতায় আসার পর জনজীবন থেকে নারীদের বাদ দেওয়ার তালেবানের সর্বশেষ উদ্যোগ এটি। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদমাধ্যম সিএনএন এমন খবর দিয়েছে।
টুইটারে অফিসিয়াল অ্যাকাউন্টে দেওয়া এক পোস্টে উপাচার্য মোহাম্মদ আশরাফ ঘাইরাত বলেন, সবার জন্য বাস্তবিক ইসলামি পরিবেশ নিশ্চিত করার আগ পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় কিংবা কাজে নারীদের অংশগ্রহণের সুযোগ দেওয়া হবে না। সবার আগে ইসলাম।
উপাচার্য বলেন, নারী প্রভাষকের সংখ্যা কম থাকায়, পুরুষদের দিয়েই নারী শিক্ষার্থীদের ক্লাস নিতে আমরা কাজ করছি। ক্লাসরুমে পর্দার আড়াল থেকে তারা ক্লাস নেবেন। নারীদের শিক্ষার সুযোগ দিতে বিশ্ববিদ্যালয়ে ইসলামি পরিবেশ তৈরি করতে হবে।
মোহাম্মদ আশরাফ ঘাইরাতকে কাবুল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগে দেওয়ার ঘটনায় বিশ্বব্যাপী সমালোচনার ঝড় উঠেছে। তার যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠলেও তিনি বলেন, এই পদে বসার সব যোগ্যতা তার রয়েছে।
মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য তিনি রূপকল্প ঘোষণা করেছেন। তিনি বলেন, বিশ্বজুড়ে সত্যিকার মুসলমানদের একটি কেন্দ্রস্থল হবে কাবুল বিশ্ববিদ্যালয়। তারা এখানে জড়ো হয়ে গবেষণা ও লেখাপড়া করতে পারবেন। আধুনিক বিজ্ঞানকে ইসলামিকরণেরও কেন্দ্র হবে এই বিশ্ববিদ্যালয়।
ঘাইরাত বলেন, আমি একটি সত্যিকারের ইসলামি পরিবেশে মুসলমানপন্থী পণ্ডিত ও শিক্ষার্থীদের স্বাগত জানাচ্ছি। তারা এখানে এসে লেখাপড়া ও গবেষণা করতে পারবেন।
এর আগে ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত আফগানিস্তান শাসনের সময় নারীদের দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিকের পর্যায়ে নিয়ে এসেছিল তালেবান। তখন নারীদের প্রতি সহিংসতা ও বলপ্রয়োগে বিয়ের ঘটনা বেড়ে গিয়েছিল। দেশের বিভিন্ন কর্মকাণ্ড থেকে তাদের প্রায় অদৃশ্য করে দেওয়া হয়েছিল।
গেল ১৫ আগস্ট তালেবানের হাতে আফগানিস্তানের পতন ঘটে। তখন তালবান নেতারা প্রতিশ্রুতি দিয়ে বলেছিলেন, তারা আর কখনো নারীদের বিরুদ্ধে জবরদস্তি আইন প্রয়োগ করবেন না, শিক্ষা ও কর্মস্থলে নারীদের অংশগ্রহণের সুযোগ করে দেবেন।
Discussion about this post