আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আফগানিস্তানের বর্তমান অর্থনৈতিক বিপর্যয় এড়ানোর অঙ্গীকার করেছেন বিশ্ব নেতারা। মঙ্গলবার (১২ অক্টোবর) অনুষ্ঠিত ভার্চুয়াল বৈঠক গ্রুপ অব টোয়েন্টি বা জি-২০ নেতারা এই অঙ্গীকার করেন। বুধবার (১৩ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা ও বিবিসি।
ইতালির প্রধানমন্ত্রী মারিও দ্রাঘির সভাপতিত্বে বৈঠকে জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তেনিও গুতেরেস, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং জি-২০ জোটভুক্ত ইউরোপিয়ান দেশগুলোর নেতারা অংশ নেন।
ভার্চুয়াল এই বৈঠকে আফগান অর্থনীতিতে বিপর্যয়কর পরিস্থিতি এড়াতে কোটি কোটি ডলার সহায়তা দিতে বিশ্বনেতাদের প্রতি আহ্বান জানায় জাতিসংঘ। এছাড়া তালেবানকে স্বীকৃতি না দিয়েই আফগানিস্তানে মানবিক সহায়তা পাঠাতেও একমত হন জি-২০ নেতারা।
বৈঠকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেন, নিরপেক্ষ আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর মাধ্যমে আফগানিস্তানের মানুষের জন্য সাহায্য পাঠাতে হবে। ওই সহায়তা সরাসরি ক্ষমতাসীন তালেবানের কাছে যাবে না। অন্যদিকে জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মেরকেল বলেন, আফগানিস্তানকে ‘বিশৃঙ্খলতায় ডুবে’ যেতে দেওয়া ঠিক হবে না।
বিবিসি বলছে, আফগানিস্তানে এখন যে পরিমাণ বৈদেশিক সহায়তা যাচ্ছে তা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। সেসব অর্থ কেবল জরুরি খাবার ও ওষুধ দেওয়ার কাজেই ব্যবহার করা হচ্ছে।
এদিকে আফগানিস্তান ও আফগান শরণার্থীদের আশ্রয় দেওয়া প্রতিবেশী দেশগুলোর জন্য ১১৫ কোটি মার্কিন ডলার সহায়তা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ইউরোপিয়ান কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লাইন। এছাড়া আফগান সংকট নিরসনে জার্মানি ৬০০ মিলিয়ন ইউরো দেবে বলে জানিয়েছেন জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মেরকেল।
সাংবাদিকদের তিনি বলেন, আফগানিস্তান যদি বিপর্যয়কর অবস্থার মধ্যে পড়ে বা দেশটির আর্থিক অবস্থা যদি ভেঙে পড়ে, তাহলে আমরা কেউই কোনো কিছুই অর্জন করতে পারবো না।’
এর আগে আফগানিস্তানের সহায়তায় গোটা বিশ্বকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে সোমবার জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তেনিও গুতেরেস জানিয়েছিলেন, আফগানিস্তান এখন একটি ভঙ্গুর অবস্থায় রয়েছে।
তিনি বলেন, আফগানিস্তানে ব্যাংকগুলো বন্ধ হয়ে যাচ্ছে, বহু স্থানে স্বাস্থ্য সেবা এবং অন্যান্য সেবা খাতের কর্মকাণ্ড বন্ধ রয়েছে। তার ভাষায়, আফগানিস্তানের অর্ধেক মানুষ এই সংকটের মধ্যে রয়েছেন এবং ক্রমেই তা বাড়ছে।
Discussion about this post