আন্তর্জাতিক ডেস্ক
১৯৬৭ সালের ৮ আগস্ট ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, ফিলিপাইন, সিঙ্গাপুর ও থাইল্যান্ডের সমন্বয়ে আসিয়ান প্রতিষ্ঠিত হয়। এরপর সাবেক জান্তা সরকারের আমলে ১৯৯৭ সালে মিয়ানমার আঞ্চলিক এই সংস্থাটিতে যুক্ত হয়।
তবে এবার মিয়ানমারের কোনো প্রতিনিধির উপস্থিতি ছাড়াই শুরু হয়েছে দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় দেশগুলোর জোট আসিয়ানের বার্ষিক সম্মেলন। মঙ্গলবার (২৬ অক্টোবর) মিয়ানমার ছাড়া অন্য সদস্য দেশগুলোর অংশগ্রহণে এই সম্মেলন শুরু হয়।
দেশে শান্তি ও স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে আঞ্চলিক শান্তিচুক্তি বাস্তবায়নে অগ্রগতি না হওয়ায় শীর্ষ সম্মেলনে মিয়ানমারের জান্তাপ্রধান মিন অং হ্লেইংকে আমন্ত্রণ জানায়নি আসিয়ান। মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা।
সংবাদমাধ্যমটি বলেছে, মঙ্গলবার আসিয়ানের শীর্ষ সম্মেলন ভার্চুয়ালি শুরু হয়। এই সম্মেলনের সভাপতিত্ব করছে ব্রুনাই। তবে উদ্বোধনী বক্তব্যে সভাপতি দেশ বা সংস্থার মহাসচিব মিয়ানমারকে বাইরে রেখে সম্মেলন আয়োজনের ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করেননি।
এর আগে গত ১৫ অক্টোবর আসিয়ানের শীর্ষ সম্মেলনে মিয়ানমারের জান্তাপ্রধান মিন অং হ্লেইংকে আমন্ত্রণ না জানানোর জন্য নজিরবিহীনভাবে একমত হয় সংস্থাটির সদস্য দেশগুলো। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে অং সান সু চির নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করে দেশটির ক্ষমতা দখল করেন তিনি।
তবে আসিয়ানের শীর্ষ সম্মেলনে মিয়ানমারের জান্তাপ্রধান মিন অং হ্লেইং আমন্ত্রণ না পাওয়ার পেছনে ‘বিদেশি হস্তক্ষেপ’কে দায়ী করেছিল দেশটির সরকারের একজন মুখপাত্র। এছাড়া আঞ্চলিক নেতাদের এই সম্মেলনে মিয়ানমারের প্রতিনিধি না রাখার এই সিদ্ধান্তকে ‘বিরল’, তবে ‘প্রয়োজনীয়’ বলে সেসময় অনেকেই মন্তব্য করেছিলেন।
জোটটি জানায়, গত ফেব্রুয়ারিতে ক্ষমতাশীল এনএলডিকে সরিয়ে ক্ষমতা দখলের পর দেশটিতে শান্তি ফিরিয়ে আনা ও ভবিষ্যত পরিকল্পনার বিষয়ে আসিয়ানের সাথে যে আলোচনা হয়েছিল তা বাস্তবায়নে ব্যর্থ হয়েছে জান্তা সরকার। আর এ কারণেই এমন সিদ্ধান্ত আসিয়ানের।
রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সংস্থা আসিয়ান দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দশটি রাষ্ট্র নিয়ে গঠিত। এর সদস্য রাষ্ট্রগুলো হচ্ছে- ব্রুনাই, কম্বোডিয়া, ইন্দোনেশিয়া, লাওস, মালয়েশিয়া, মিয়ানমার, ফিলিপাইন, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড ও ভিয়েতনাম।
Discussion about this post