অনলাইন ডেস্ক
২০২১ সালের বুকার পুরস্কার জিতেছেন দক্ষিণ আফ্রিকার লেখক ডেমন গ্যালগাট। দ্যা প্রমিজ উপন্যাসের জন্য তিনি এই পুরস্কার পান।
বুধবার এক অনুষ্ঠানে পুরস্কারের ৫০ হাজার পাউন্ড তুলে দেয়া হয় তার হাতে। দ্যা প্রমিজ তার লেখা নবম উপন্যাস। সেখানে দক্ষিণ আফ্রিকান একটি পরিবারের চার দশকের জীবনযাত্রার কাহিনী তুলে ধরা হয়েছে। অসাধারণ বর্ণনা ও কাহিনীসহ বইটিকে দুর্দান্ত এক সফর বলে জানিয়েছেন বিচারকরা।
এর আগে দুইবার বুকারের জন্য মনোনয়ন পেলেও সফল হননি তিনি। ২০০৩ সালে ‘দ্য গুড ডক্টর’ এবং ২০১০ সালে ‘ইন এ স্ট্র্যাঞ্জ রুম’ বইয়ের জন্য মনোনয়ন পেয়েছিলেন ডেমন গ্যালগাট।
শৈশবে ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে প্রায় জীবন হারাতে বসা ডেমন বইয়ের মাঝে খুঁজে নিয়েছিলেন আনন্দ। সুস্থ হওয়ার পর তাই হয়ে উঠেন লেখক।
সাহিত্যে নোবেল পুরস্কারের পর সম্ভবত বুকারই বিশ্বের সবচেয়ে সম্মানজনক সাহিত্য পুরস্কার। যুক্তরাজ্যের এই পুরস্কারের জন্য যেকোনো লেখক বই জমা দিতে পারেন। অনেকের স্বপ্ন ওই বুকার পুরস্কার। বুকার পুরস্কার কর্তৃপক্ষ শত শত বই থেকে বাছাই করা ১৩টি বই নিয়ে এবার প্রকাশ করে ‘লংলিস্ট’ বা দীর্ঘ তালিকাতালিকায় ছিল জাপানি লেখক স্যার কাজুও ইশিগুরোর ‘ক্লারা এন্ড দ্য সান’, মার্কিন লেখক রিচার্ড পাওয়ার্সের ‘বিউইল্ডারমেন্ট’, ভারতীয় বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ লেখক সঞ্জীব সাহোতার ‘চায়না রুম’, ব্রিটিশ-কানাডীয় ঔপন্যাসিক র্যাচেল কাস্কের ‘সেকেন্ড প্লেস’, শ্রীলংকার অনুক অরুদপরগসমের ‘এ প্যাসেজ নর্থ’, কানাডীয় উপন্যাসিক ম্যারি লসনের ‘দ্য টাউন কল্ড সোলাস’, মার্কিন লেখক নাথান হ্যারিসের ‘দ্য সুইটনেস অব ওয়াটার’, দক্ষিণ আফ্রিকার লেখক ক্যারেন জ্যানিংসের ‘অ্যান আইল্যান্ড’, মার্কিন ঔপন্যাসিক ও কবি প্যাট্রিকা লকউডের ‘নো ওয়ান ইজ টকিং অ্যাবাউট দিস’, সোমালি-ব্রিটিশ লেখক নাদিফা মোহামেদের ‘দ্য ফরচুনম্যান’, মার্কিন লেখক ম্যাগি শিপস্টিডের ‘গ্রেট সার্কেল’ এবং ব্রিটিশ লেখক ফ্রান্সিস স্পাফর্ডের ‘লাইট পার্পেচুয়াল’।
Discussion about this post