আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আফগানিস্তানে নারী শিক্ষার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে সহযোগিতা কামনা করেন মানবাধিকারকর্মী মালালা ইউসুফজাই। ওয়াশিংটন সফরকালে একটি অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে মালালা এই আহবান জানান।
সোমবার (৬ডিসেম্বর) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ওই অনুষ্ঠানে ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। অনুষ্ঠানে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে লেখা ১৫ বছর বয়সী আফগান কিশোরী সোতোদাহের একটি চিঠি পড়ে শোনান মালালা।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনঙ্কেনের পাশে দাঁড়িয়ে মালালা বলেন, আফগানিস্তান হচ্ছে বিশ্বের একমাত্র দেশ যেখানে নারীরা বর্তমানে মাধ্যমিক শিক্ষার সুযোগও পাচ্ছে না। কারণ নারী শিক্ষার ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে দেশটির তালেবান সরকার।
চিঠিতে লেখা ছিল, নারীদের জন্য যত বেশি দিন স্কুল ও বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকবে, ততই এটি তাদের ভবিষ্যৎকে অন্ধকারের দিকে ঠেলে দেবে। নারীদের শিক্ষা শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য একটি শক্তিশালী হাতিয়ার। নারীরা না শিখলে আফগানিস্তানও ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
তালেবান ক্ষমতায় আসার পর শুধু ছেলেরাই আফগানিস্তানের মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোতে যেতে পারে।
অনুষ্ঠানের আগে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের সঙ্গে বৈঠকে ইউসুফজাই বলেন, আমরা আশা করি যে যুক্তরাষ্ট্র ও জাতিসংঘের যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আফগান নারীদের ফিরে যাওয়া নিশ্চিত করতে পদক্ষেপ নেবে।
প্রসঙ্গত, ২০১২ সালে তালেবানের হাতে গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর পাকিস্তানের নাগরিক মালালা ইউসুফজাই ব্রিটেনের রাজনৈতিক আশ্রয়ে রয়েছেন। ২০১৪ সালে সর্বকনিষ্ঠ ব্যক্তি হিসেবে তিনি শান্তিতে নোবেল পান।
Discussion about this post