শিক্ষার আলো ডেস্ক
যুক্তরাজ্য সরকার যদি করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে প্ল্যান বি-তে অটল থাকে তাহলে সংক্রমণ চূড়ায় পৌঁছালে প্রতিদিন ২ হাজার ৪০০ মানুষ হাসপাতালে ভর্তি হতে পারে বলে বলছেন উপদেষ্টারা।
একদল বিশেষজ্ঞ যুক্তরাজ্য সরকারকে বলেছেন, করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে কঠোর বিধিনিষেধ জারি না করলে আগামী পাঁচ মাসে ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত হয়ে ২৫ থেকে ৭৫ হাজার মানুষের মৃত্যু হতে পারে। লন্ডন স্কুল অব হাইজিন অ্যান্ড ট্রপিক্যাল মেডিসিনের বিজ্ঞানীরা আরও সতর্ক করে বলেছেন, এই মাসের শেষ দিকেই ওমিক্রন সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ছড়ানো করোনার ভ্যারিয়েন্টে পরিণত হতে পারে।
বিজ্ঞানীদের মতে, সবচেয়ে আশাব্যঞ্জক পরিস্থিতির কথা ভাবলেও অনুমিত সংক্রমণ চূড়ায় পৌঁছালে দৈনিক হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা ২ হাজার ছাড়িয়ে যেতে পারে, মোট হাসপাতালে ভর্তির সংখ্যা হতে পারে ১ লাখ ৭৫ হাজার এবং ১ ডিসেম্বর থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত মৃত্যু হতে পারে ২৪ হাজার ৭০০ জনের।
সায়েন্টিফিক অ্যাডভাইজরি গ্রুপ ফর এমার্জেন্সিস (সেজ) এবং সায়েন্টিফিক প্যান্ডেফিম ইনফ্লুয়েঞ্জা গ্রুপ অন মডেলিং-এর অংশ হিসেবে এই বিজ্ঞানীরা যুক্তরাজ্য সরকারকে পরামর্শ দিয়ে থাকেন। তারা পরীক্ষামূলক তথ্য ব্যবহার করে জানতে চেয়েছেন কীভাবে ওমিক্রন ছড়াতে পারে যখন কঠোর বিধিনিষেধ ছাড়া প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের ‘প্ল্যান বি’ অনুসারে ২০২২ সালে প্রবেশ করছে দেশটি।
গবেষণা দলের সদস্য সেন্টার ফর ম্যাথমেটিক্যাল মডেলিং অব ইনফেকশাস ডিজিজেস-এর ড. নিক ড্যাভিয়েস শনিবার বলেন, এটি আগাম অনুমান কিন্তু এতে ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে যে গুরুত্বপূর্ণ মাত্রায় টিকাকে পাশ কাটিয়ে ওমিক্রন দ্রুত ডেল্টাকে ছাড়িয়ে যাচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, যদি বর্তমান প্রবণতা বহাল থাকে তাহলে ডিসেম্বরের শেষ নাগাদ যুক্তরাজ্যে অর্ধেক আক্রান্তের কারণ হবে ওমিক্রন।
তাদের অনুসন্ধানে আরও উঠে এসেছে, করোনার টিকার বুস্টার ডোজে ওমিক্রনের বিরুদ্ধে সুরক্ষার মাত্রা বৃদ্ধি করে। এতে সংক্রমণের সংখ্যা, হাসপাতালে ভর্তি ও মৃত্যুর সংখ্যা কমতে পারে।
Discussion about this post