হোসাইন এম নাজ্জার
জীবনে সফল হতে হলে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা, কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন বিকল্প নেই, এই বিশ্বাস নিয়েই আমরা অনেকে বড় হয়েছি। কিন্তু দেখা যায় এক-চতুর্থাংশ বিলিয়নিয়ার তাদের গ্র্যাজুয়েশনই শেষ করতে পারেনি। আমরা যে বিশ্বাস নিয়ে বড় হয়েছি সেটাকে রূপকথা বলাই যেন ঠিক। আমরা কিছু মানুষ সম্পর্কে জানবো যারা হাজার কোটি টাকা কামিয়েছেন কোনো ডিগ্রি ছাড়াই। এখানে তাদের অর্থ পরিমাপ করা হয়েছে মার্কিন ডলারে আর এর হিসাব নেয়া হয়েছে ফোর্বস থেকে।
ইভান উইলিয়ামস
ব্লগার, টুইটার ও মিডিয়ামের সহ-প্রতিষ্ঠাতা উইলিয়াম নিজ বলে বিলিয়নিয়ার। নেব্রাস্কা বিশ্ববিদ্যালয় শুরু করার আগে তিনি তার বাবার সয়াবিন ও শস্যক্ষেতে কাজ করতেন। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ড্রপ আউটের পর তিনি কোডিং শেখেন। দুই বন্ধুকে সঙ্গে নিয়ে ব্লগিং সাইট ব্লগার ডেভেলপ করেন ও গুগলের কাছে বিক্রি করেন। টুইটারে জয়েন করার আগে তিনি গুগলে দুই বছর কাজ করেছেন। তার বর্তমান সম্পত্তির মূল্য ২.২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
টেড টার্নার
ব্রাউন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ড্রপ আউট টেড তার বাবার বিজ্ঞাপণ কোম্পানি টার্নার অ্যাডভার্টাইজিং-এ কাজ করতেন। বাবার আত্মহত্যার পর ব্যবসার সব দায়িত্ব নিজের কাধে নেয়ার পর নতুন নামে নতুনভাবে সাজান। টার্নার অ্যাডভার্টাইজিং থেকে টার্নার ব্রডকাস্টিং-এ রূপান্তরিত হওয়ার পর, এটি বিলিয়ন ডলার কোম্পানিতে পরিণত হয়। বর্তমানে টার্নারের সম্পত্তির পরিমাণ ২.৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। তিনি নিজেকে বিশ্বসেবায় নিবেদিত করেছেন ও আমেরিকার প্রাকৃতিক পরিবেশ নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন।
শন পার্কার
ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাকালীন পরিচালক শন পার্কার একজন সফল উদ্যোক্তা। তিনি মিউজিক শেয়ারিং সেবা প্রতিষ্ঠান ন্যাপস্টারও প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি স্কুলে গেলেও কখনো কলেজে ভর্তি হননি। তার সম্পত্তির পরিমাণ ২.৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। পার্কার প্ল্যাক্সো ও এয়ারটাইম কোম্পানির সঙ্গেও জড়িত।
ট্র্যাভিস কলনিক
কলেজ থেকে ড্রপ আউট কলনিক তার স্টার্ট-আপস স্কাওর ও রেড সুশে মনোনিবেশ করেন। তিনি ২০০৯ সালে উবারের সহ-প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে সারাবিশ্বে পরিচিতি লাভ করেন। তবে তিনি ২০১৭ সালে উবারের সিইও পদ থেকে আর ২০১৯ সালে বোর্ড থেকে সড়ে দাঁড়ান। কলনিক ২০১৯ সালে উবারে তার শেয়ারের ৪% বিলিয়ন ডলারে বিক্রয় করেন। তার বর্তমান সম্পত্তির পরিমাণ ২.৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
স্টিভেন স্পিলবার্গ
গড়পরতা রেজাল্টের জন্য তিনবার চেষ্টা করেও কলেজে ভর্তি হতে পারেননি স্টিভেন স্পিলবার্গ। অবশেষে যখন কলেজে ভর্তির সুযোগ পান, তখন শর্টফিল্ম তৈরির দিকে নজর দেন। এই শর্টফিল্মই তাকে ইউনিভার্সালে একটি চাকরি পাইয়ে দেয়। তিনি জেফরি কাজেনবার্গ আর তার সঙ্গে ড্রপ আউট হওয়া আরেক বিলিয়নিয়ার ডেভিড গ্যাফেনকে নিয়ে ১৯৯৪ সালে ড্রিমওয়ার্কস স্টুডিওজ প্রতিষ্ঠা করেন। তার বর্তমান সম্পত্তি ৩.৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
গ্যাব নিউয়েল
বিল গেটসের মতো গ্যাব নিউয়েলও হারভার্ড ড্রপ আউট। তিনি ভালভ করপোরেশনের সহ-প্রতিষ্ঠাতা। ১৯৯৮ সালে প্রতিষ্ঠা হওয়া এই কোম্পানি মূলত কম্পিউটার গেম বিক্রি করে থাকে। এছাড়া তারা ২০১৬ সালে ভাইভ নামের ভিআর হেডসেট বাজারে ছাড়েন, যেটি চাইনিজ কোম্পানি এইচটিসির সঙ্গে যৌথভাবে তৈরি করা হয়েছিল। গ্যাব নিউয়েলের বর্তমান সম্পত্তির পরিমাণ ৩.৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
রিচার্ড ব্র্যানসন
রিচার্ড ব্র্যানসন ভার্জিন ব্র্যান্ড প্রতিষ্ঠা করেন। এই কোম্পানির বিখ্যাত ভার্জিন আটলান্টিক এয়ারওয়েজসহ আরো ৩৬০টি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। তিনি ছোটবেলায় সাংবাদিক বা সম্পাদক হতে চাইলেও স্কুলের গণ্ডিই পার হতে পারেননি। মাত্র ১৬ বছর বয়সে স্কুল ড্রপ আউট হয়ে তিনি ‘স্টুডেন্ট ম্যাগাজিন’ শুরু করেন এবং সফল হন। এরপর মাত্র ২৪ বছর বয়সে ৭৯ একরের ক্যারাবিয়ান দ্বীপ কিনে নেন। এছাড়াও ১৯৯৯ সালে তিনি নাইট উপাধিতে ভূষিত হন। তার বর্তমান সম্পত্তি ৩.৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
ব্যারি ডিলার
কলেজ ড্রপ আউট ব্যারি ডিলার ফক্স ব্রডকাস্টিং কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা। তিনি এক্সপিডির চেয়ারম্যান। এছাড়া ইন্টার একটিভ কর্প-এর সিইও দ্বায়িত্ব পালন করেছেন। তার বর্তমান সম্পত্তির পরিমাণ ৫.১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
জর্জিও আরমনি
মেডিক্যাল স্কুল থেকে ড্রপ আউট আরমানি নিজ নামের ফ্যাশন ব্র্যান্ড আরমানি প্রতিষ্ঠা করেন। মিলানের একটি ডিপার্টমেন্টাল স্টোরে কাজ করার আগে তিনি সেনাবাহিনীতে কাজ করতেন। সত্তরের দশকের মাঝামাঝি সময়ে শুরু হওয়া ফ্যাশন ব্র্যান্ডটি এখন পারফিউম, জিন্স, প্রসাধনী থেকে শুরু করে নানা ধরনের জিনিস বিক্রি করে। বর্তমানে তার সম্পত্তির পরিমান ৭.২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
রালফ লরেন
রালফ লরেন ব্রুনক্সে একটি রাশিয়ান ইহুদি অভিবাসী পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। ফ্যাশন ব্র্যান্ড রালফ লরেন কর্পোরেশন প্রতিষ্ঠার আগে কিশোর বয়স থেকে তিনি একটি পোশাক শিল্পে খণ্ডকালিন কাজ করতেন। লরেন ২০১৫ সালে কোম্পানির সিইও-এর দ্বায়িত্ব ছেড়ে দেন তবে তিনি এখনো চেয়ারম্যান হিসেবে আছেন। কলেজ ড্রপ আউট লরেনের বর্তমান সম্পত্তি ৭.৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
জেন কোম
হোয়াটস অ্যাপের সহ-প্রতিষ্ঠাতা জেন কোম তার মোবাইল মেসেজিং এই অ্যাপটি ২০১৪ সালে ২২ বিলিয়ন ডলারে ফেসবুকের কাছে বিক্রি করে দেন। সান হোসে স্টেট ইউনিভার্সিটি থেকে ড্রপ আউট কোম ৯ বছর ইয়াহুতে কাজ করেছেন। ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে মে পর্যন্ত তিনি ৬০ লাখের বেশি ফেসবুক শেয়ার বেনামি গ্রাহককে দান করেছেন। ফেসবুকের এই বোর্ড মেম্বারের বর্তমান সম্পত্তি ১০.৬ বিলিয়নমার্কিনডলার।
আজিম প্রেমজি
বাবার আকস্মিক মৃত্যুতে স্ট্যান্ডফোর্ড ছেড়ে আসতে বাধ্য হন ২১ বছরেন প্রেমজি। এসে বাবার আউটসোর্সিং কোম্পানি উইপ্রোর হাল ধরেন তিনি। লোকমুখে কলেজ ড্রপ আউট শুনতে শুনতে বিরক্ত হয়ে ৫০ বছর বয়সে আবার স্ট্যান্ডফোর্ডে ভর্তি হন ডিগ্রি কমপ্লিট করতে। ভারতের সবচেয়ে ধনী এই টেক টাইকুনের বর্তমান সম্পত্তি ১০.৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
জ্যাক ডর্সি
টুইটারের সহ-প্রতিষ্ঠাতা হতে জ্যাক ডর্সির কোনো ডিগ্রির প্রয়োজন হয়নি। তিনি মিসৌরি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নিউইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থানান্তরের আগে টুইটার ডেভলপের জন্য পড়াশোনা বাদ দেন। তার বর্তমান সম্পত্তি ১০.৯ বিলিয়নমার্কিনডলার।
কার্ল আইকান
বিতর্কিত এই মার্কিন বিনিয়োগকারী মেডিকাল স্কুল ছেড়ে দেন সেনাবাহিনীতে যোগ দেয়ার জন্য। আইকান ১৯৬৮ সালে নিজের ব্যবসায় ফার্ম প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি একটানা টেক্সাকো, ট্রান্স ওয়ার্ল্ড এয়ারলাইনস, আমেরিকান এয়ারলাইনস সহ অনেকগুলো বড় বড় প্রতিষ্ঠান কিনে নিলে আমেরিকায় খলনায়কে পরিণত হন। তার বর্তমান সম্পত্তি ১৫.৮ বিলিয়নমার্কিনডলার।
ডাস্টিন মস্কোভিটজ
বিলিয়নিয়ার ডাস্টিন মস্কোভিটজ মার্ক জাকারবার্গকে হার্ভাডের ডর্ম থেকে ফেইসবুক চালু করতে সাহায্য করেন। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ড্রপ আউট ও ফেসবুক ছেড়ে সফটওয়্যার কোম্পানি আসানা প্রতিষ্ঠা করেন। তার আয়ের সিংহ ভাগ আসে ফেসবুকে তার ২% শেয়ার থেকে। তার বর্তমান সম্পত্তির পরিমাণ ২১.১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
জিনা রাইনহার্ট
অস্ট্রেলিয়ার সবচেয়ে ধনী এই নারী বাবার মৃত্যুর পর তার দেউলিয়া হওয়া কোম্পানিকে বিলিয়ন ডলারের সম্পত্তিতে পরিণত করেন। সিডনি বিশ্ববিদ্যালয়ের এই ড্রপ আউটের বর্তমান সম্পত্তি ২২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। তার ভাগ্য খোলে যায় হোপডাউন খনি থেকে। আরেকটা হলো রয় হিল প্রজেক্ট যেটা মূলত লোহা উত্তলন করে।
লি কা-শিং
লি কা-শিং এর ক্ষেত্রে ব্যাপারটি বস্তির ছেলে কোটিপতি হওয়ার গল্পের মতো। জাপান চীন আক্রমণ করলে ১৯৪০ সালে তার পরিবার হংকং-এ পালিয়ে যায়। বাবার মৃত্যুর পর মাত্র ১৫ বছর বয়সে স্কুল ছেড়ে প্লাস্টিক কোম্পানিতে কাজ নেন। কা-শিং নিজেই প্লাস্টিকের কারখানা খুলে বসেন ও রিয়েল স্টেট ব্যবসায়ও শুরু করেন। এরপর কনটেইনার কোম্পানি হাচিসন হাম্পুয়া কিনে নেন। তার খুচরা ব্যবসায় থেকে শুরু করে প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান সবখানেই পদচারণা। তার বর্তমান সম্পত্তির পরিমাণ ২৯.৮বিলিয়নমার্কিনডলার।
ফ্রানসোয়া পিনাল্ট
ফ্রান্সোয়া পিনাল্ট তার বাবার কাঠের ব্যবসায়ে কাজের জন্য ১৯৪৭ সালে হাইস্কুলে থাকা অবস্থাতেই পড়াশোনা ছেড়ে দেন। বিখ্যাত ফ্যাশন ব্র্যান্ড গুচি, স্টেলা ম্যাককার্টনি, আলেকজেন্ডার ম্যাককুইন, ইভ সন লরেন এর সত্বাধিকারী পিনাল্ট ও তার পরিবার। তার বর্তমান সম্পত্তির পরিমাণ ৫১.১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
মাইকেল ডেল
টেক্সাস বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকা অবস্থাতেই মাইকেল ডেল তার কম্পিউটার কোম্পানি শুরু করেন। পরবর্তীতে তার কোম্পানিতে সময় দেয়ার জন্য পড়াশোনায় ইস্তফা দেন। বর্তমানে ডেল কম্পিউটারস বিশ্বের সবচেয়ে লাভবান কম্পিউটার উৎপাদক কোম্পানি। মাইকেল ডেলের সম্পত্তির পরিমাণ ৫৮.২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
আমানসিও ওরটেগা
আমানসিও ওরটেগা ফ্যাশন কোম্পানি ইন্ডিটেক্স এর প্রতিষ্ঠাতা। এর আওতাধীন বিখ্যাত ব্র্যান্ড জারা, পুল এন্ড বিয়ার এবং মাসিমো ডোটি। অরটেগা মাত্র ১৪ বছর বয়সে স্কুল ছেড়ে দেন শার্টের দোকানের বার্তাবাহকের কাজের জন্য। তিনি ২০১১ সালে ইন্ডিটেক্সের চেয়ারম্যানের পদ থেকে অবসর নেন। স্পেনের সবচেয়ে ধনী এই ব্যক্তির সম্পত্তি ৭৪.২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
গৌতম আদানি
ভারতীয় এই সফল ব্যবসায়ী দ্বিতীয় বর্ষে থাকা অবস্থায় গুজরাট বিশ্ববিদ্যালয় ছেড়ে মুম্বায়ে পাড়ি জমান। মাত্র কয়েক রুপি নিয়ে আসা গৌতম আদানি নিজের কোম্পানি শুরুর আগে হীরার ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন। তার প্রতিষ্ঠিত আদানি কোম্পানি কয়লা, তেল, গ্যাস উত্তলন ও বিপনণ এবং বিদ্যুত উৎপাদনের সাথে জড়িত। তার বর্তমান সম্পত্তি ৮১.২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
ওয়ারেন বাফেট
ওয়ারেন বাফেটকে বিশ্বের সবচেয়ে সুপরিচিত বিনিয়োগকারী হিসাবে বিবেচনা করা হয়। মাত্র ১১ বছর বয়সে এই বিলিয়নিয়ার প্রথম শেয়ার কিনেন আর হাই স্কুলে থাকা অবস্থাতেই পিনবল মেশিনের ব্যবসায় শুরু করেন। তার কোম্পানি বার্কশায়ার হ্যাথএওয়ের মাধ্যমেই মূলত তার যত সম্পত্তি। দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট, গেইকো, এক্সনের মত কোম্পানি বার্কশায়ার হ্যাথএওয়ের আওতাধীন। তিনি ১৯৮৯ সাল থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত কোকাকোলার পরিচালক হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। তার বর্তমান সম্পত্তি ১০৩.১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। বাফেট তার সমস্ত সম্পত্তির ৯৯% দাতব্য কাজে ব্যয় করার ঘোষণা দিয়েছেন।
মার্ক জাকারবার্গ
ফেইসবুকের (বর্তমানে মেটা) সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও মার্ক জাকারবার্গের বর্তমান সম্পত্তির পরিমাণ ১১৮.৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। হারভার্ডে দ্বিতীয় বর্ষ শেষে এই বিলিয়নিয়ার তার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মনোনিবেশ করতেই পড়াশোনায় ইস্তফা দেন।
ল্যারি এলিসন
বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম সফটওয়্যার কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা ল্যারি এলিসনের সম্পত্তির পরিমাণ ১২১.৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। দুই দুইবার কলেজ ড্রপ আউট হওয়ার পর তার পালক পিতা বলেন তার দ্বারা কিছুই সম্ভব নয়। এরপর ১৯৭৭ সালে তিনি সফটওয়্যার কোম্পানি ওরাকল প্রতিষ্ঠা করেন।
বিল গেটস
বিশ্বের সবচেয়ে বড় সফটওয়্যার কোম্পানি মাইক্রোসফটের সহ-প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস। নিজের সাম্রাজ্য তৈরির জন্য এই ধনকুবের হারভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়েন। টানা ১৩ বছর থাকা বিশ্বের সবচেয়ে ধনী এই ব্যক্তি এখন মানব সেবায় নিজেকে ব্রত করেছেন। তিনি এবং তার সাবেক স্ত্রী মেলিন্ডা তাদের সমস্ত সম্পত্তি কাজে লাগাচ্ছেন পোলিও, ম্যালেরিয়া ছাড়াও অন্যান্য রোগের বিরুদ্ধে। তার বর্তমান সম্পত্তির পরিমাণ ১৩৮.৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
Discussion about this post