অনলাইন ডেস্ক
চলতি বছর অন্তত ৪ লাখ ১ হাজার অভিবাসীকে স্থায়ীভাবে বসবাসের অনুমতি দিয়েছে কানাডা। গত ১০০ বছরের মধ্যে প্রথমবার এই মাইলফলক স্পর্শ করেছে দেশটি। আগামী বছর এর সংখ্যা আরও বাড়াতে চায় জাস্টিন ট্রুডোর সরকার। ২০২২ সালে তারা অন্তত ৪ লাখ ১১ হাজার অভিবাসীকে স্থায়ী বসবাসের অনুমতি দেওয়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে। বৃহস্পতিবার (২৩ ডিসেম্বর) কানাডার অভিবাসন মন্ত্রী শন ফ্রেজার এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। খবর রয়টার্সের।
অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ধারা বজায় রাখতে এবং ক্রমেই বুড়িয়ে যাওয়া জনসংখ্যার ওপর চাপ কমাতে অভিবাসীদের ওপর অনেকাংশে নির্ভরশীল কানাডা। তবে করোনাভাইরাস মহামারির কারণে বেশিরভাগ সীমান্ত বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ২০২০ সালে দেশটিতে স্থায়ী বসবাসের অনুমতিপ্রাপ্তদের সংখ্যা কমে যায় প্রায় ৪৫ শতাংশ। গত বছর মাত্র ১ লাখ ৮৫ হাজার অভিবাসী কানাডায় স্থায়ী বসবাসের অনুমতি পেয়েছিলেন।
কানাডার অভিবাসন মন্ত্রী এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, চলতি বছর স্থায়ী অনুমতি পাওয়া ৪ লাখ ১ হাজার অভিবাসীর মধ্যে বেশিরভাগই আগে থেকে দেশটিতে বসবাস করছিলেন। অর্থাৎ, ২০২১ সালে এসব অস্থায়ী বসবাসকারীদের স্থায়ী করে নিয়েছে কানাডা সরকার।
শন ফ্রেজার বলেছেন, গত বছর আমরা এক উচ্চাভিলাষী লক্ষ্য নিয়েছিলাম। আজ তা অর্জন করেছি।
২০১৫ সালে ক্ষমতাগ্রহণের পরপরই অভিবাসীদের সহায়তায় অর্থনীতির গতি বাড়ানোর উদ্যোগ নেয় ট্রুডোর লিবারেল সরকার। প্রতি বছর দেশটির মোট জনসংখ্যার (প্রায় ৩ কোটি ৮০ লাখ) এক শতাংশের সমান অভিবাসীকে স্থায়ী বসবাসের অনুমতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা।
বৃহস্পতিবার প্রকাশিত সরকারি তথ্যে দেখা যায়, গত নভেম্বরে টানা ষষ্ঠ মাসের মতো কানাডার অর্থনীতির আকার বেড়েছে। করোনাভাইরাস সংকট কাটিয়ে তা অনেকটাই মহামারিপূর্ব অবস্থায় চলে এসেছে।
Discussion about this post