আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আবারও তাইওয়ানের আকাশসীমায় ঢুকে পড়েছে চীনা যুদ্ধবিমান। তাইওয়ানের এয়ার ডিফেন্স আইডেন্টিফিকেশন জোনে ৩৯টি সামরিক বিমান পাঠিয়েছে চীন।
সীমান্তে উত্তেজনা বাড়াতে চীন এমনটা করেছে বলে তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।
সম্প্রতি নৌপথেও যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের আধিপত্য নিয়ে উত্তেজনা শুরু হয়েছে। এদিকে, ইউক্রেন ইস্যুতে রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। এর মাঝেই তাইওয়ানের আকাশসীমায় যুদ্ধবিমান পাঠালো চীন।
তাইওয়ানের আশেপাশে মার্কিন নৌবাহিনীর তিনটি এয়ারক্রাফ্ট মোতায়েন হওয়ায় অক্টোবরের পর থেকে সবচেয়ে বড় চীনা যুদ্ধবিমানের অনুপ্রবেশের ঘটনা এটি। তবে এ ঘটনায় তাৎক্ষণিকভাবে বেইজিং কোনো মন্তব্য করেনি।
বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, বেইজিং ধারাবাহিকভাবে তাইওয়ানকে রাজনৈতিক ও সামরিক চাপের মুখে ফেলেছে। প্রতিনিয়ত তাইওয়ানের আকাশে চীনা যুদ্ধবিমান টহল দিচ্ছে। গত বছর অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহেই বেইজিংয়ের ১৪৮টি সামরিক বিমান টহল দিয়েছে তাইওয়ানের আকাশসীমায়।
তাইওয়ানের প্রধানমন্ত্রী সু সেং চ্যাং তাইওয়ানের বিমান প্রতিরক্ষা অঞ্চলে চীনের যুদ্ধবিমানগুলোর অনুপ্রবেশকে ‘অপ্রয়োজনীয়’ বলে মন্তব্য করেছেন।
এদিকে, চীনের জাতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়েছে, ‘তাইওয়ানের জনগণ স্বাধীনতা চায় কিন্তু তারা আগুন নিয়ে খেলছে এবং নিজেদের আগুনে ধরিয়ে দেবে। তাইওয়ানের স্বাধীনতা চাওয়া মানে যুদ্ধ ছাড়া আর কিছুই নয়। ‘
প্রসঙ্গত, অনেক আগে থেকেই বেইজিং তাইওয়ানের ওপর সম্পূর্ণ সার্বভৌমত্ব দাবি করে আসছে, যদিও তারা উভয় পক্ষ সাত দশকেরও বেশি সময় ধরে পৃথকভাবে শাসিত হয়েছে। অন্যদিকে, তাইপেই যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কৌশলগত সম্পর্কের উন্নয়ন ঘটায়ে চীনের বিরুদ্ধে লড়াই করে যাচ্ছে।
Discussion about this post