আন্তর্জাতিক ডেস্ক
বিশ্ব উষ্ণায়নের প্রভাবে গোটা বিশ্বেই হাহাকার। এর জেরে সমুদ্রের জলস্তর বাড়ছে। জলের তলায় চলে যাচ্ছে বহু জায়গা, দ্বীপ। মুম্বাই, জাকার্তা, কলকাতা, ঢাকার মতো শহরগুলি ডুবে যেতে পারে আর কয়েক দশকে। এই আবহে ক্রমেই ঋতুর হেরফের দেখা যাচ্ছে বিশ্বে। এবছরই যেমন শীতকাল জুড়ে বাংলা দেখল দফায় দফায় বৃষ্টিপাত। এই জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব পড়ছে বিশ্বের দুই মেরুতে। দুই মেরুতেই অস্বাভাবিক গরম পড়ছে।
মার্চের শেষে ঢাকার পারদ প্রায় ৪০ ডিগ্রি ছুঁইছুঁই। আর এদিকে দক্ষিণ মেরুতে তাপমাত্রার পারদ স্বাভাবিকের থেকে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেড়ে গিয়েছে। এন্টার্কটিকার আবহাওয়া স্টেশনগুলি গত শুক্রবার যে তাপমাত্রা নথিভুক্ত করে তা রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে। ৩২৩৪ মিটার উঁচ্চতায় অবস্থিত কনকর্ডিয়া স্টেশনটির তাপমাত্রা সেদিন ছিল মাইনাস ১২.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের প্রায় ৪০ ডিগ্রি বেশি উষ্ণ।
এন্টার্কটিকার উচ্চতর ভোস্টক স্টেশনের তাপমাত্রা ছিলমাইনাস ১৭.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দক্ষিণ মেরুর আবহাওয়ার ট্র্যাকার ম্যাক্সিমিলিয়ানো হেরেরার একটি টুইট অনুসারে প্রায় ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ব্যবধানে সর্বকালের রেকর্ডকে ভেঙেছে সেদিন। উপকূলীয় টেরা নোভা ঘাঁটির তাপমাত্রা ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল। পূর্ব আন্টার্কটিকার গম্বুজ C-ii-তে তাপমাত্রা মাইনাস ১০ ডিগ্রি ছিল গত শুক্রবার। এখানে স্বাভাবিক তাপমাত্রা থাকার কথা মাইনাস ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
শুক্রবার সমগ্র আন্টার্কটিক মহাদেশে বেসলাইন তাপমাত্রার (১৯৭৯ এবং ২০০০ এর মধ্যকার গড় তাপমাত্রা) তুলনায় প্রায় ৪.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি উষ্ণ ছিল। সূত্র: টাইমস নাউ।
Discussion about this post