অনলাইন ডেস্ক
ইয়েমেনে যুদ্ধরত পক্ষগুলো দুই মাসের যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। ২০১৬ সালে যুদ্ধ শুরু হওয়ার এবারই প্রথমবারের মতো দেশজুড়ে যুদ্ধবিরতিতে সম্মতি এসেছে।
জাতিসংঘের হিসেবে এই যুদ্ধে এখন পর্যন্ত প্রায় চার লাখ মানুষ নিহত হয়েছে। এদের ৬০ শতাংশের মৃত্যু হয়েছে ক্ষুধা, অপ্রতুল স্বাস্থ্যসেবা এবং নিরাপদ পানির অভাবে।
জাতিসংঘ জানিয়েছে, সৌদি আরবের নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক জোট এবং ইরান সমর্থিত হুথি বিদ্রোহীদের বিদ্রোহীদের মধ্যে সই হওয়া যুদ্ধবিরতি শনিবার স্থানীয় সময় বিকাল চারটা থেকে শুরু হবে। শনিবার ইয়েমেনে শুরু হচ্ছে মুসলমানদের কাছে পবিত্র রমজান মাস।
জাতিসংঘের মধ্যস্ততায় সই হওয়া যুদ্ধবিরতির চুক্তির প্রশংসা করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তিনি বলেন, ইয়েমেনি জনগণের দুর্ভোগ লাঘবে সাহায্য করবে এই চুক্তি। তবে তিনি সতর্ক করে বলেন, ‘এগুলো গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ, কিন্তু যথেষ্ট নয়। অস্ত্রবিরতি অবশ্যই মেনে চলতে হবে এবং আগেও যেমনটি বলেছি, এই যুদ্ধ শেষ হওয়া অত্যাবশ্যক।’
সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে অনুষ্ঠিত আলোচনার দ্বিতীয় দিনে শুক্রবার এই যুদ্ধবিরতি সই হওয়ার ঘোষণা দেন জাতিসংঘের বিশেষ দূত হ্যানস গ্রান্ডবার্গ। এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘পক্ষগুলো ইয়েমেনের অভ্যন্তর এবং সীমান্তে স্থল, আকাশ ও সমুদ্রে সব ধরনের সামরিক হামলা বন্ধ রাখা মেনে নিয়েছে।’
চুক্তির আওতায় জ্বালানি তেলবাহী জাহাজগুলো বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত কৃষ্ণ সাগরের আল হুদাইদাহ বন্দর দিয়ে চলাচল করতে পারবে এবং বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত রাজধানী সানায় বিমানবন্দরে কার্যক্রম চালাতে পারবে বাণিজ্যিক ফ্লাইট। অবরুদ্ধ দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর তায়েজের সড়কগুলো খুলে দেওয়া হবে বলে জানান জাতিসংঘ দূত।
ইয়েমেনের আন্তর্জাতিকভাবে গ্রহণযোগ্য সরকারের সমর্থনে গত সাত বছর ধরে হুথি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে লড়াই করছে সৌদি জোট। তারা মূলত বিমান হামলা ব্যবহার করে।
অন্যদিকে হুথি বিদ্রোহীরা ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে সৌদি আরব ও তাদের মিত্র দেশগুলোতে হামলা চালিয়ে আসছে।
সূত্র: বিবিসি
Discussion about this post