আন্তর্জাতিক ডেস্ক
চীনের মূল ভূখণ্ডে রবিবার টানা দ্বিতীয় দিনের মতো করোনাভাইরাসে কোনও প্রাণহানির খবর পাওয়া যায়নি। দেশটির ন্যাশনাল হেলথ কমিশনের বরাত দিয়ে সোমবার এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
ন্যাশনাল হেলথ কমিশন জানিয়েছে, রবিবার নতুন করে কারও মৃত্যু না হলেও এদিন আরও ১২ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত করা হয়েছে। এদের মধ্যে আট জন বিদেশিদের সংস্পর্শে এসেছিল।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের রাজধানী উহান থেকে ছড়িয়ে পড়ে করোনাভাইরাস। উৎপত্তিস্থল চীনে ৮৩ হাজারেরও বেশি মানুষ আক্রান্ত হলেও সেখানে ভাইরাসটির প্রাদুর্ভাব কমে গেছে। তবে বিশ্বের অন্যান্য দেশে এই ভাইরাসের প্রকোপ বাড়ছে। চীনের বাইরে করোনাভাইরাসের প্রকোপ ১৩ গুণ বৃদ্ধি পাওয়ার প্রেক্ষাপটে গত ১১ মার্চ দুনিয়াজুড়ে মহামারি ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।
চীনের বিরুদ্ধে অবশ্য প্রকৃত পরিস্থিতি গোপন করার অভিযোগ রয়েছে। তথ্য প্রদানে স্বচ্ছতার অভাব নিয়ে বিশ্বজুড়ে সমালোচনার মুখে পড়ছে দেশটি।
অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মারিসে পেইনি বলেছেন, তার দেশ এমন একটি পর্যালোচনা চায়, যার অংশ হিসেবে তদন্ত করা হবে যে চীন কীভাবে উহানে প্রকোপ দেখা দেওয়ার শুরুর দিকে ব্যবস্থা নিয়েছিল। তার মতে, মহামারি পরিস্থিতিতে চীনের স্বচ্ছতা প্রশ্নে অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে দেশটির সম্পর্কের পরিবর্তন হতে পারে। কেননা, করোনা নিয়ে চীনের স্বচ্ছতার বিষয়টি সর্বোচ্চ উদ্বেগে পরিণত হয়েছে।
Discussion about this post