আন্তর্জাতিক ডেস্ক
চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং বলেছেন, তাইওয়ান ইস্যুতে মার্কিন অবস্থান ‘আগুন নিয়ে খেলার’ সমতুল্য এবং ‘আগুন নিয়ে খেললে পুড়তে হবে’। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে টেলিফোনে আলাপকালে সি এই সতর্কবার্তা উচ্চারণ করেন। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সম্প্রতি মার্কিন কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ হাউস অব রিপ্রেজেনটেটিভসের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি চীনের চির বৈরী রাষ্ট্র তাইওয়ান সফরের পরিকল্পনা করেন। তাঁর এই পরিকল্পনার জবাবেই চীনা প্রেসিডেন্টের এই সতর্কবার্তা।
চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, চীনা প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং ও বাইডেনের মধ্যকার ৫ম দফার এই টেলিফোন আলাপ দুই ঘণ্টা স্থায়ী হয়। আলাপকালে চীনা প্রেসিডেন্ট বাইডেনকে বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃবৃন্দের উচিত ‘এক চীন’ নীতি মেনে চলা। তাইওয়ানের স্বাধীনতার বিষয়টি দৃঢ়ভাবে নাকচ করে তিনি বলেন, এই বিষয়ে কোনো বহিঃশক্তির হস্তক্ষেপ চান না এই বিষয়ে।
চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদমাধ্যম আরও জানিয়েছে, সি চিন পিং বাইডেনকে বলেছেন, ‘আগুন নিয়ে খেললে পুড়তে হবে এবং আমরা আশা করি আমাদের মার্কিন বন্ধুরা এই বিষয়টি পরিষ্কারভাবে উপলব্ধি করতে পারবে।’
এই টেলিফোন আলাপের বিষয়ে মার্কিন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, দুই ঘণ্টাব্যাপী আলোচনায় বেশ কিছু বড় ইস্যু নিয়ে কথা বলেছেন দুই নেতা। এসব বিষয়ের মধ্যে ছিল—রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে চলমান যুদ্ধ, এই যুদ্ধের বিষয়ে চীনা অবস্থান এবং আলোচনার মূল বিষয় ছিল—দুই দেশের মধ্যকার ক্রমবর্ধমান দূরত্ব নিরসন। এই আলোচনাকে বিশ্বের বৃহত্তম দুই অর্থনীতির মধ্যে প্রতিযোগিতামূলক বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরও গভীর করার একটি দারুণ সুযোগ হিসেবে দেখছেন।
উল্লেখ্য, চীন কখনোই পৃথক স্বাধীন ভূখণ্ড বলে স্বীকার করেনি তাইওয়ানকে। এবং সম্প্রতি দেশটি প্রয়োজনে চীনের অন্তর্ভুক্ত করে নেওয়ার বিষয়টিও আলোচনায় এসেছে বেশ জোরেশোরে। এর আগে, বেইজিং একাধিকবার তাইপে–ওয়াশিংটনের উষ্ণ সম্পর্কের বিষয়ে উষ্মা প্রকাশ করেছে। সর্বশেষ, গত সোমবার চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ঝাও লিজিয়ান সতর্ক করে বলেছেন, তাঁর দেশ প্রয়োজনে ‘দৃঢ় এবং স্থির পদক্ষেপ’ নেবে যদি পেলোসি তাইওয়ান সফর করেন। এবং এর জন্য কেবল ওয়াশিংটনই এককভাবে দায়ী থাকবে।
Discussion about this post