আন্তর্জাতিক ডেস্ক
যুদ্ধ শুরুর পর থেকে ইউক্রেনের শহরগুলোতে সবচেয়ে বড় পরিসরে রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর নিজেদের সশস্ত্র বাহিনীকে আরও শক্তিশালী করার অঙ্গীকার জানিয়েছে কিয়েভ। রাশিয়া ও ক্রিমিয়াকে সংযুক্তকারী একমাত্র সেতুতে বিস্ফোরণের জেরে সোমবার সকালে ইউক্রেনের বিভিন্ন শহরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় রাশিয়া।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, এসব ক্ষেপণাস্ত্র আকাশ, ভূমি ও সাগর থেকে ছোড়া হয়েছে। হামলায় অন্তত ১৪ জন নিহত ও বহু মানুষ আহত হয়েছে। এ ছাড়া জ্বালানি অবকাঠামোতে ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতের পর বেশ কিছু অঞ্চলে বিদ্যুতের সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। কয়েকটি এলাকায় দেখা দেয় পানির সংকটও।
দেশটির রাজধানী কিয়েভ ছাড়াও লভিভ, তেরনোপিল ও জেতোমের, দিনিপ্রো, ক্রেমেনচুক, জাপোরিঝিয়া ও খারকিভ শহরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ইউক্রেনীয় কর্মকর্তারা।
এই হামলার পরিপ্রেক্ষিতে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে কথা বলেছেন। বাইডেনের সঙ্গে আলাপের পর জেলেনস্কি টেলিগ্রামে এক পোস্টে লেখেন, ‘আমাদের প্রতিরক্ষা সহযোগিতার প্রথম অগ্রাধিকার আকাশ প্রতিরক্ষা।’
এরপর রাতে দেওয়া ভিডিও ভাষণে জেলেনস্কি বলেন, ‘আমাদের সশস্ত্র বাহিনীকে শক্তিশালী করতে প্রয়োজনীয় সবকিছু করব আমরা। যুদ্ধক্ষেত্রে শত্রুর জন্য আরও যন্ত্রণাদায়ক করে তুলব আমরা।’
এদিকে জো বাইডেন জেলনস্কিকে জানিয়েছেন, ইউক্রেনকে অত্যাধুনিক আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা সরবরাহ করবে যুক্তরাষ্ট্র। এ ছাড়া রুশ হামলাকে বর্বরতা ও নৃশংসতা হিসেবে উল্লেখ করে বাইডেন বলেন, এটি প্রেসিডেন্ট পুতিনের অনৈতিক যুদ্ধ।
Discussion about this post