আন্তর্জাতিক ডেস্ক
চলতি মাসের নভেম্বর মাসেই বিশ্বের জনসংখ্যা ৮০০ কোটি হতে যাচ্ছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ।
জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিলের প্রধান নাটালিয়া কানেম বলেন, ৮০০ কোটি মানুষ মানবসভ্যতার জন্য গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। এ জন্য প্রত্যাশিত গড় আয়ু বৃদ্ধি এবং মা ও শিশুমৃত্যু কমে আসার প্রশংসা করেছেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘যদিও আমি বুঝতে পারছি, মুহূর্তটি সবাই উদ্যাপন নাও করতে পারে। আমাদের বিশ্বে অতিরিক্ত জনসংখ্যা বলে কেউ কেউ উদ্বিগ্ন। আমি এখানে বলতে চাই, মানবজীবনের নিছক এই সংখ্যা কোনো ভয়ের কারণ নয়।’
আমাদের সংখ্যা কি এতই বেশি, যা পৃথিবীর জন্য বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে? অনেক বিশেষজ্ঞ বলছেন, ‘এটা ভুল প্রশ্ন। অতিরিক্ত জনসংখ্যাভীতির চেয়ে আমাদের মধ্যকার সবচেয়ে ধনীদের এই গ্রহের সম্পদের অতিমাত্রায় ভোগের দিকে আমাদের নজর দেওয়া উচিত।’
রকফেলার ইউনিভার্সিটির ল্যাবরেটরি অব পপুলেশনসের জোয়েল কোহেন বার্তা সংস্থা এএফপি’কে বলেন, ‘কাদের জন্য অনেক বেশি, কিসের জন্য অনেক বেশি? আপনি যদি আমাকে এ প্রশ্ন করেন, আমি কি (সংখ্যায়) অনেক বেশি হয়ে গেলাম? আমি তেমনটা মনে করি না।’
জোয়েল কোহেন বলেন, ‘পৃথিবী কত মানুষের ভার নিতে পারে, এমন প্রশ্নের দুটি দিক থাকে—প্রাকৃতিক সীমাবদ্ধতা ও আমাদের পছন্দসমূহ।’
আমাদের পছন্দের পরিণতি হলো—এই গ্রহ প্রতিবছর যে পরিমাণ পুনরুৎপাদন করতে পারে, এর চেয়ে মানবজাতি অনেক বেশি জৈবিক সম্পদ ভোগ করছে। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, জীবাশ্ম জ্বালানির অত্যধিক ব্যবহার আরো বেশি কার্বন ডাই–অক্সাইড নির্গমনের দিকে ঠেলে দিচ্ছে, যা বৈশ্বিক উষ্ণায়নের জন্য দায়ী।
কোহেন আরো বলেন, ‘আমরা নির্বোধ। আমাদের দূরদর্শিতার অভাব ছিল। আমরা লোভী। আমরা আমাদের কাছে থাকা তথ্য ব্যবহার করি না। এখানেই পছন্দগুলো এবং সমস্যা নিহিত।’
সূত্র: ইউনাইটেড নেশন্স
Discussion about this post